তওবা করার সময় যে প্রতিজ্ঞা করবেন

লাস্টনিউজবিডি, ১৪ নভেম্বর: শয়তান ও নফসের ধোকায় মানুষ পাপে জড়িয়ে পড়ে। মানুষের এই পাপ প্রবণতার বিষয়ে এক হাদিসে রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় কাজকর্ম দিয়ে আর জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে নিরস কাজকর্ম দিয়ে। (বুখারি, খণ্ড ৭, ২৪৫৫)
পাপ করে ফেললেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য তওবার দরজা খুলে রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কর্ম সম্পাদন করবে, অতঃপর তাওবা করবে এবং সংশোধন করে নেবে, তাহলে তো তিনি ক্ষমাপরায়ণ, দয়াশীল।’ (সূরা আনআম, আয়াত, ৫৪)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, (হে রাসুল আপনি) বলুন, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছো- (তোমরা) আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ -(সুরা যুমার : আয়াত, ৩৯)
তওবার প্রতি উৎসাহিত করে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সেই মহান সত্তার কসম যার হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা পাপ না কর, আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে (তোমাদের পরিবর্তে) এমন এক জাতি আনয়ন করবেন, যারা পাপ করবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করবে। আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম, ২৭৪৮)
গুনাহ থেকে তওবা করার সময় চারটি প্রতিজ্ঞা করা উচিত। এই প্রতিজ্ঞাগুলোর মাধ্যমে তওবার ওপর অটল থাকা সহজ। প্রতিজ্ঞাগুলো হলো- ১. যেসব গুনাহ করা হয়েছে, এগুলোর জন্য অনুতপ্ত হওয়া। ২. পাপ কাজ ছেড়ে দেওয়া। ৩. ভবিষ্যতে আর কখনো পাপ না করার দৃঢ় সংকল্প করা। ৪. একমাত্র আল্লাহর ভয়েই তওবা করা, কোনো মানুষের হক নষ্ট করে থাকলে তা আদায় করে দেওয়া।
লাস্টনিউজবিডি/মারুফ
সর্বশেষ সংবাদ
- ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের-জেডি, সামিট গ্রুপের প্রকৌশলী আহত
- জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
- ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছে আ.লীগ
- রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির মশাল মিছিল
- দিনমজুর ভাড়া করে নাশকতা করায় বিএনপি: ডিবির হারুন
- ক্যাডেট কলেজ ক্লাব এবং নিউ হরাইজন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মধ্যে সমঝোতা