•  গণনার সাড়ে ৩ ঘণ্টায় দানবাক্সের টাকা সোয়া ৩ কোটি ছাড়িয়েছে  •     •  নাশকতার পরিকল্পনা করছে বিএনপি: কাদের  •     •  ‘রোকেয়া পদক’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী  •     •  ইসিতে আপিলের শেষ দিন আজ, রোববার থেকে শুনানি  •     •  পাঁচ নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী  •     •  পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা  •     •  সারা দেশে ৩৩৮ ওসি রদবদল (তালিকাসহ)  •     •  টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন  •     •  বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না: কাদের  •     •  শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার সোনাসহ যাত্রী আটক  •     •  সারা দেশে র‍্যাবের ৪১৮ টহল দল মোতায়েন  •     •  আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী  •     •  ভোটের আগ পর্যন্ত গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রির সিদ্ধান্ত  •     •  বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬তম  •     •  বিএনপি এখন জামায়াতের বি টিম হিসেবে কাজ করছে: কাদের  •     •  দ্বিতীয় দিনের মতো ইসিতে আপিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে  •     •  টিসিবির ডিসেম্বরের পণ্য বিক্রি শুরু আজ  •     •  শিঘ্রই চালু হচ্ছে স্বাস্থ্য কার্ড, একটি নম্বরে থাকবে রোগীর সব তথ্য  •     •  মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ভিড় নির্বাচন কমিশনে  •     •  ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সমাবেশ হচ্ছে না : কাদের  •  
Wednesday, 7th June , 2023, 10:31 am,BDST
Print Friendly, PDF & Email

বঙ্গবন্ধুর ছয় দফায় মুক্তির পথ খুঁজে পায় বাঙালি


।। মানিক লাল ঘোষ ।।

বাঙালি জাতি চির দুর্বার, চির দুর্দম। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। শক্তিবলে অসম হলেও তারা ব্রিটিশদের সামনেও কভু মাথা নত করেনি। পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর দুঃশাসন, অত্যাচারে জর্জরিত বাঙালি দৃঢ়কণ্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ৫২’র হার না মানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার। ধীরে ধীরে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে স্বাধিকার আন্দোলনের দিকে।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বি-জাতির ভিত্তিতে জন্ম নেয় পাকিস্তান নামের একটি রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রের দুইটি প্রদেশ। একটি পূর্ব পাকিস্তান, অন্যটি পশ্চিম পাকিস্তান । জন্মলগ্ন থেকেই দুই প্রদেশের মধ্যে শুধু দূরত্ব বৈষম্য ছিল তা নয়। দূরত্ব ছিল চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি, ভাষার ব্যবহার থেকে সবখানে। পাকিস্তান জন্মলাভের পর থেকেই চলছিল পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিদের ওপর তাদের ঔপনিবেশিক শোষণ ও শাসন। পাকিস্তানের এই বিমাতা সুলভ বৈষম্যমূলক আচরণ এবং বাঙালির ওপর প্রথম আঘাত আসে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে উপেক্ষা করে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করে উর্দুকে পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে।

বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সরকারের এই শোষণ, নীপিড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভের দাবানল জ্বলতে শুরু করে। ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিকদের বিভিন্ন লেখা ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত তথ্যমতে, বাঙালির ক্ষোভ প্রকাশের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলসমূহের এক কনভেনশনে অংশগ্রহণ করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণকে বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন । কিন্তু উক্ত কনভেনশনের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ছয় দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করার অসম্মতি জানান । শুধু তাই নয় বরং পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন অনেক জাতীয় পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করে সংবাদ পরিবেশন করে । এই ঘটনায় বিস্মিত ও মর্মাহত হন বঙ্গবন্ধু। তিনি উক্ত কনভেনশন বয়কট করেন এবং ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে ফিরে এসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ শে ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা আহ্বান করেন। ঐ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর পেশকৃত ৬ দফা সর্বসম্মতি ক্রমে অনুমোদিত হয় এবং দলীয় কর্মসূচি হিসাবে ৬ দফাকে গ্রহণ করা হয়।

১৯৬৬ সালের মার্চ মাসের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ৬ দফা দাবি সম্মিলিত ‘ছয় দফা’ প্রচার ও প্রকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট ‘উপ-কমিটি’ গঠন করা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, তাঁরই নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা মুদ্রিত ও প্রকাশ করার। পরে পুস্তকটি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হলে ব্যাপক সাড়া মেলে। তারপর থেকেই বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবিকে বাংলার জনগণের প্রাণের দাবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য বাংলার মাঠে-ঘাটে ৬ দফার ফেরিওয়ালা হয়ে প্রচারে নেমে পরেন।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই দাবিকে জনগণের দাবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে সমর্থন হন বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তীতে একদিকে চলে বিচারের নামে প্রহসন আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই প্রহসন বিচার ও বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করবার লক্ষ্যে রাজপথে নেমে আসে বাংলার ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন। ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনের দাবানল।

১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবির পক্ষে তীব্র গণ-আন্দোলনের সূচনা হয় দেশব্যাপী। এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় হলো এই ৬ দফা আন্দোলনে নেতৃত্ব। ৬ দফার পক্ষে জনমত সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারা বাংলায় গণসংযোগ শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ঐ সময় গণসংযোগকালে তাঁকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় বারবার গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৬ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি ৮ বার গ্রেফতার হন।

পাকিস্তানের বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ছাত্রজনতার। তাদের ঢল দেখে পাকিস্তান সামরিক সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে। মুক্তি পায় বাঙালির মুক্তির দূত। শত নির্যাতন, জেল-জুলুমের পরও বাঙালি স্বাধিকার আদায়ের দাবি থেকে সরে দাঁড়াননি বঙ্গবন্ধু। বরং আরো বেশি একত্রিত হয়ে তাঁদের প্রাণের দাবি ৬ দফা বাস্তবায়নে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান হয়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন। এরপর ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাঙালি জাতি বিপুল বিজয় পায়। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতি হিসেবে সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাস বদলে ফেলার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নামে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান, বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা, ৬৯ গণঅভ্যুথান সব ইতহাস অজানা আর অচেনা হয়ে ওঠে বাঙালির কাছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না কী ছিল বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফায়।

যা ছিল ছয় দফায়:
১ : শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতিঃ দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে, যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারি ধরনের। আইন পরিষদের (Legislatures) ক্ষমতা হবে সার্বভৌম এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে।

২ : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাঃ কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু’টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

৩ : মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতাঃ মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু’টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারেঃ- (ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু’টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা (খ)বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।

৪ : রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতাঃ ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

৫ : বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতাঃ (ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। (খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে। (গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে। (ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না। (ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

৬ : আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতাঃ আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এই ছয় দফাকে কেউবা বলছেন ম্যাগনাকার্ক কেউবা আখ্যায়িত করেছেন বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির জন্ম লগ্ন থেকেই পাকিস্তানের জনসংখ্যার শতকরা ৫৬ জন , বাঙালিরা তাদের স্বাধিকার ভোগ করতে পারেনি। এক ধরনের ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ পূর্ব বাংলার ওপর চাপিয়ে রাখা হয়েছিল এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই বিষয়টি অনুধাবন ও চিহ্নিত করে পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে মুক্তির দিশারী হিসেবে ছয় দফা দাবি প্রণয়ন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধুর এই দাবি বাস্তবায়নে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের হরতালে আত্মহুতি দিয়েছিলেন ১১ জন বাঙালি। অনেকেই মনে করেন ৭ জুনের হরতালকে কেন্দ্র করে যে রক্ত ঝরেছিল বাঙালি জাতির হদপিণ্ড থেকে, স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য এটাই বাঙালির প্রথম রক্তদান। এই আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে পাকিস্তান জালেমদের তারা জানান দেয় অধিকার আদায়ে মুক্তি সংগ্রামে জীবন দিতে প্রস্তুত হচ্ছে বাঙালি। ভবিষ্যতে তাদের আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এই দিনে শহীদদের স্মরণে ৭ জুন পালন করা হয় ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে দিবসটি। পালন করে না শুধু বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য- যারা স্বাধীনতার মাইল ফলক ৭ জুন তথা ৬ দফাকে অস্বীকার করেন তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে বিশ্বাস করে না। আর আমি মনে করি ইতিহাসের অমোঘ সত্যতে যারা মানতে চায় না তারা একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে, অলরেডি হওয়ার পথে- শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

লেখক: সাংবাদিক, রাজনীতিক।

আপনার মতামত দিন
Print Friendly, PDF & Email
youtube
recent
youtube
পেপার কর্ণার
Lastnewsbd.com
islame bank
অনলাইন জরিপ
আজকের প্রশ্ন >

বিএনপি কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার এ বক্তব্যের সঙ্গে আপনি কি একমত?

View Results

Loading ... Loading ...
আর্কাইভ
IBBL-Web-Ad-Option-6.gif
মতামত
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই একমাত্র সমাধান
।।গাজীউল হাসান খান ।। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের ...
বিস্তারিত
সাক্ষাৎকার
সফল হওয়ার গল্প, সাফল্যের পথ
।। আলীমুজ্জামান হারুন।। ১৯৮১ সালে যখন নিটল...
বিস্তারিত
জেলার খবর
Rangpur

    রংপুরের খবর

  • মিছিল-স্লোগানে মুখর রংপুরের সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের ঢল
  • রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে জনসমুদ্র: তথ্যমন্ত্রী
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপি কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার এ বক্তব্যের সঙ্গে আপনি কি একমত?

  • না (67%, ৬ Votes)
  • হা (33%, ৩ Votes)
  • মতামত নেই (0%, ০ Votes)

Total Voters:

Start Date: নভেম্বর ১০, ২০২৩ @ ৪:৫৫ অপরাহ্ন
End Date: No Expiry

বিএনপি বর্তমান কাঠামোতে ভোটে যেতে চান না, আপনিও কি তাই মনে করেন ?

  • হ্যা (73%, ২৯ Votes)
  • না (20%, ৮ Votes)
  • মতামত নাই (7%, ৩ Votes)

Total Voters: ৪০

Start Date: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ @ ১০:২৪ অপরাহ্ন
End Date: No Expiry

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি-আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

  • একমত না (78%, ৭ Votes)
  • আপনি কি একমত (22%, ২ Votes)
  • মতামত নাই (0%, ০ Votes)

Total Voters:

Start Date: নভেম্বর ২, ২০২২ @ ৪:০১ অপরাহ্ন
End Date: No Expiry

নিজেদের দলীয় কর্মী মনে করবেন না-ডিসি-এসপিদের প্রতি সিইসি এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?

  • একমত (100%, ৩ Votes)
  • একমত না (0%, ০ Votes)
  • মতামত নাই (0%, ০ Votes)

Total Voters:

Start Date: অক্টোবর ৮, ২০২২ @ ৫:১৬ অপরাহ্ন
End Date: No Expiry

থানায় গেলেই হয়রানির শিকার হতে হয় জনগণকে। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এই অবস্থার অবসান চান নতুন আইজিপি। আপনি কি মনে করেন ?

  • একমত (0%, ০ Votes)
  • না (0%, ০ Votes)
  • মতামত নাই (100%, ০ Votes)

Total Voters:

Start Date: অক্টোবর ৬, ২০২২ @ ৬:২৫ পূর্বাহ্ন
End Date: No Expiry

 Page ১ of ৪  ১  ২  ৩  ৪  »