রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে নজর দেয়া হচ্ছে

লাস্টনিউজবিডি, ২৯ জানুয়ারি: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, কিছুদিন ধরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাজের কারণে বিভিন্ন জায়গায় সম্পৃক্ত ছিল পুলিশ। তবে এখন রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে নজর দেয়া হচ্ছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রাজধানীতে অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এখন রাতের ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে বিশেষ নজর দেয়া হবে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বিট পুলিশ ও থানা পুলিশকে রাজধানীর অপরাধ দমনে সবসময় নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে। কখনও যদি অপরাধ বেড়ে যায়, তখন আমরা বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে চেষ্টা করি তা দমন করার। কিন্তু অপরাধ একেবারে নির্মূল করা খুবই কঠিন। যারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন, তাদের যদি ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অপরাধটাও কমিয়ে আনা যায়। এ নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যেমন অপরাধীদের ধরতে কৌশল অবলম্বন করে, তেমনি যারা অপরাধ করে তারাও তো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন নিয়ে থাকে। যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই, যেখানে কেউ তাকে দেখতে পারবে না, সেখানেই অপরাধগুলো হচ্ছে বেশি। অপরাধের যে ধরন ও প্রক্রিয়া, তা শুধু পুলিশিং দিয়েই একদম নির্মূল করার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। কারাগারে গিয়ে অপরাধীরা সংশোধন বা অন্য কোনো পেশায় যাবে, সেটাও হচ্ছে না।
হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা শহর ২৪ ঘণ্টা কর্মব্যস্ত থাকে। দিনের বেলায় যেমন অফিসে সবাই ব্যস্ত থাকে। রাতের ঢাকায় ব্যাপক হারে ট্রাক প্রবেশ করে। কাঁচাবাজারে বিভিন্ন পণ্য যারা বিক্রি করেন, সেখানে বাজার খুবই সক্রিয় থাকে। যারা রাতের বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে বাইরে থেকে আসেন, তারা যখন গভীর রাতে চলাচল করেন তখন অপরাধীদের ফাঁদে পড়েন। আমরা একটা বিষয় দেখেছি যে, অপরাধীরা সব সময় চেষ্টা করে, তারা যেন ধরা পড়তে না পারে, সেভাবেই তারা অপরাধটা করে। বেশির ভাগ সময় তারা রাতের আধারটাই বেছে নেয়।
অপরাধ যারাই করুক, আমাদের প্রথম কাজটি হলো ঘটনা ও অপরাধীকে চিহ্নিত করা। আমরা অপরাধীকে চিহ্নিত করি। তাদের সবসময় নজরদারিতে রাখতে পারলে অপরাধ কমে যাবে। একটা বিষয় চুরি বা ছিনতাই যারাই করে, ব্যাপক হারে গ্রেফতার করতে পারলে কমে যায়। তারা যখন আবার বেরিয়ে (জেল থেকে) আসে, এখন আবার ঘটনা বেড়ে যায়।
গত সপ্তাহে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হত্যা প্রসঙ্গে ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, এরইমধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, তা খুঁজে বের কতে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে জানা যাবে, আসলে ঘটনাটা কী।
ঢাকার আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির গ্রেফতারের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সিটিটিসি এটা নিয়ে তদন্ত করছে। তারা বিষয়টির অগ্রগতির বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
লাস্টনিউজবিডি/পি
সর্বশেষ সংবাদ
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল
- শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রশাসনের ইফতার বিতরণ
- বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
- সিজিডিএফ হিসেবে গোলাম ছরওয়ার ভূঁঞা এর দায়িত্ব গ্রহণ
- রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ভবনে আগুন
- মসিকের উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা