ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩ সম্পর্কে যা বললেন মোস্তফা জব্বার

লাস্টনিউজবিডি, ২৫ জানুয়ারি : আগামী ২৬-২৮ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩ দিনব্যাপী বসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩। মেলার আয়োজক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। তিন দিনের এ মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন ও ৭৭টি স্টলে নিজেদের প্রযুক্তি ও কার্যক্রম তুলে ধরবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ।। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম, জিনাত আরা, ড. রাশিদা ফেরদৌস, এনডিসি, যুগ্মসচিব, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ আসলাম হোসেন, প্রকৌঃ শেখ রিয়াজ আহমেদ (কমিশনার বিআরটিসি) ,টেলিটকের এমডি হাবিবুর রহমান, এসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটাই হবে শেষ ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা। ভবিষ্যতে আয়োজন করা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাব। এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো ১৩ বিভাগে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক দেওয়া হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান সংবাদ সম্মলনে বলেন, স্মার্ট প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ এখন আর কোনো কল্পনা নয়, বাস্তবতা। এবারের মেলা হবে পরিবেশ ও নারীবান্ধব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চার দিনের মেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা কী কী ভ্যালু অ্যাড করে তা প্রদর্শন করবে। মেলায় থাকবে মুজিব কর্নার। থাকবে ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) জোন। মোবাইল ফোন অপারেটররা মেলায় ফাইভ-জি লাইভ দেখাবে বলে জানা গেছে।
মেলায় মূল ইভেন্ট হিসেবে থাকবে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) জোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইওটি জোনের বিভিন্ন স্টলে বসবেন। আইওটি খাতে নতুন কী ইনোভেশন আছে শিক্ষার্থীরা তা দেখাবেন। মেলায় সব মিলিয়ে ৮টি সেমিনার ও কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। মেলার প্রথম দিন ২টি, দ্বিতীয় দিন ৪টি এবং শেষ দিনে ২টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
মেলাকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোস্তফা জব্বার । তাঁর বক্তব্য হুবাহু পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো—-
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম ও শুভ অপরাহ্ন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমি আমার নিজের সর্বোপরি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও মেলার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য অংশীজনদের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি – কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি আজ সুদৃঢ় হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই দূরদৃষ্টি প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়িত হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানব সম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ২০২৩ অন্যতম মূল লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অগ্রগতি, অবস্থান এবং ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবছরের ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দর্শনাথীদের জন্য মেলার স্টল খোলা থাকবে। www.digitalbangladeshmela.org.bd বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। মেলার এই ওয়েব সাইটে ক্লিক করে দর্শনার্থীগণ বিনা মূল্যে নিবন্ধন করতে পারবেন।

বন্ধুগণ
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছর ২০২০ সালের ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ যুগ অতিক্রম করেছি। ২০২১ ও ২২ সালে করোনার জন্য মেলার আয়োজন করা যায়নি। আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করছি যে আগামী দিনের এ মেলা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা। এ বছরের এই মেলার মধ্য দিয়ে আমরা ডিজিটাল যুগের অর্জন গুলো মেলায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় বিআইসিসিতে মেলার উদ্বোধন হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন আশা করা হচ্ছে। আমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী জনাব দীপু মনি, এমপি প্রধান অতিথি এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি জনাব এ, কে এম রহমতুল্লাহ, এমপি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জেনে খুশি হবেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর, ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান, ডিজিটাল নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অবদান, ইমাজিং টেকনোলজি বিকাশে অবদান এবং টেলিযোগাগ প্রযুক্তি বিকাশে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানসহ ১২টি ক্যাটাগরিতে জুরি বোর্ড কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি ও সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক বিতরণ করা হবে।

বন্ধুগণ
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘ ডিজিটাল বাংলাদেশের সংযুক্তির মহাসড়ক’। ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। এ বিবেচনায় নির্বাচিত প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত প্রাসংগিক হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি আগেই বলেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ সফল বাস্তবায়নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী এক দর্শন।
(দুই)
আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে। এই কর্মসূচি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সোপান।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা
এই মেলায় ৫২টি প্যাভিলিয়ন এবং ৭৭ টি প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। এর মধ্যে, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, জেডটিই, এবং বিভিন্ন মোবাইল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। মেলায় লাইভ দেখা যাবে ফাইভ-জি। মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে।
বিজয় কী-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তফা জব্বার
মেলায় ৮ টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মাননীয় মন্ত্রী এবং অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন। এর মধ্যে ২৬ জানুয়ারি মিডিয়া বাজারে বেলা তিন টায় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনয় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এমপি । অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক হাসান চৌধুরী। ২৬ জানুয়ারি উইন্ডি টাউন হলে বেলা তিন টায় মেইড ইন বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি, এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার জনাব মো: মেসবাহ উদ্দিন।
২৭ জানুয়ারি মিডিয়া বাজারে বেলা ১১ টায় পঞ্চম শিল্প বিপ্লব ও ফাইভি-জি অবকাঠামো : বাংলাদেশের প্রস্তুতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে আলোচনয় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

২৭ জানুয়ারি উইন্ডি টাউনে বেলা ১১ টায় দুর্যোগকালীন সময়ে টেলিযোগাযোগ খাত: শীর্ষক পূর্ব ও পরবর্তী কৌশল করণীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ এনামুর রহমান. এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএন্ডএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব নাসিম পারভেজ। ২৭ জানুয়ারি উইন্ডি টাউনে বেলা ৩ টায় ডাটা সায়েন্স রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা; বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। ২৭ জানুয়ারি বেলা তিন টায় ডিজিটাল রূপান্তর: ভবিষ্যত বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে আলোচনয় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম । অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পিডব্লিওসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার জনাব মামুন রশিদ। মেলার শেষ দিন ২৮ জানুয়ারি মিডিয়া বাজারে বেলা ১১ টায় নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় আইন. বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক. এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি প্রকল্প পরিচালক জনাব তারেক এম বরকতউল্লাহ। ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় উইন্ডি টাউনে স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন মাননীয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এবিএম মইনুল হোসেন। এছাড়া ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী
(৩)
কমিটির সদস্য জনাব রেজওয়ান আহাম্মদ, এমপি। সব শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপনী পর্দা উঠবে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ২০২৩ উপলক্ষ্যে অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতা এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ডিজিটাল মেলা ২০২৩ উপলক্ষে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীগণ (১ম থেকে ৫ম শ্রেণি) এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অন লাইন রচনা প্রতিযোগিতায় বিষয় ক-গ্রুপঃ নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীগণ (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি) (অনধিক ১০০০ শব্দ) বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। খ-গ্রুপঃ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীগণ (৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি) (অনধিক ১২০০ শব্দ) বিষয় ডিজিটাল বাংলাদেশ : রূপান্তরের গল্প।

২৮ জানুয়ারি শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে সকাল ১০ টায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আসুন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটার সাম্য সমাজ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গৃহীত স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন সফল করি – উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই।
লাস্টনিউজবিডি/পি
সর্বশেষ সংবাদ
- হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল
- শ্রীমঙ্গলে উপজেলা প্রশাসনের ইফতার বিতরণ
- বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
- সিজিডিএফ হিসেবে গোলাম ছরওয়ার ভূঁঞা এর দায়িত্ব গ্রহণ
- রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ভবনে আগুন
- মসিকের উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা