নড়াইলে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

শরিফুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী হেদায়েত শেখকে (৫০) মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামিকে খালাস প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ কেরামত আলি।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ আদেশ দেন। মৃত্যুপ্রাপ্ত হেদায়েত শেখ জেলার লোহাগড়া উপজেলার পদবিলা গ্রামের মৃত
গোলাম রব্বানীর ছেলে। আর খালাস প্রাপ্তরা হলেন খলিল শেখ ও আনজুয়ারা বেগম। তবে হেদায়েত শেখ এখনও পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদী মমতাজ বেগমের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার ৫/৬ বছর আগে স্ত্রী থাকা সত্তেও আমার বাবা হেদায়েত শেখ আঞ্জুয়ারা বেগম নামের একজনকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা প্রথম স্ত্রীকে খুন করে গুম করার হুমকি দিয়ে আসছিল। ২০১২ সালের ফ্রেরুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাদীসহ তার মা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে বাদী তার মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় বাদী তার বাবা হেদায়েতের লুঙ্গিতে রক্ত দেখে কারণ জানতে চান। তার বাবা বলে সকালে তিনি একটি গরু জবাই করেছেন। এই বলে হেদায়েত শেখ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পালিয়ে যায়।
পরে বাদীসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা পদবিলা বিলের মধ্যে আসাদুজ্জামানের জমির মধ্যে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ পায়। মৃতদেহের গলা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্বামী হেদায়েত শেখ, মো. খলিল শেখ ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি হেদায়েত শেখকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ২ আসামিকে খালাস প্রদানের আদেশ দেন বিচারক।
লাস্টনিউজবিডি/এসএম
সর্বশেষ সংবাদ
- স্বামীকে তালাক দিয়ে ভাসুরের সঙ্গে প্রেম, পালানোর সময় ধরা
- মধ্যরাতে জাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ৪ দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
- আমি কাঁদছি, চোখের এই জল দুঃখের নয়: সানিয়া মির্জা
- মন্দিরের চুরি হওয়া স্বর্ণ ১৫ দিন পর কবরস্থানে থেকে মিলল
- বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে যা বললেন জয়
- টেলিটকের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ