সরকারের পলিসি পেলে শিগগিরই ‘মেইডইন বাংলাদেশ’ ইলেক্ট্রিক গাড়ি: মাতলুব

লাস্টনিউজবিডি, ৫ জুন: এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান- কর বাহাদুর আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন চালিত গাড়ির মেইনটেনেন্স খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগামীতে ইলেকট্রিক গাড়িই হবে দেশের প্রধান যানবাহন। তাই সরকারের পলিসি পেলে শিগগিরই ‘মেইডইন বাংলাদেশ’ ইলেক্ট্রিক গাড়ি এদেশে তৈরি করে বিদেশেও রপ্তানি করবে নিটল-নিলয় গ্রুপ।
নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে আমরা ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন চালিত গাড়ি ব্যবহার করছি। এগুলোর দিন এখন শেষ হয়ে আসছে। সম্ভাবনাময় দিক হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি। যেটা রিনিউয়েবল এনার্জিতে চলতে পারে কিংবা অন্য কোন প্রসেসরে ব্যাটারি চার্জ হতে পারে। এই নতুন ফর্মুলায় গাড়িটা আগের থেকে চালিকাশক্তি একদম ডিফারেন্ট। যেটায় আল্টিমেট খরচ অনেক কম পড়বে। আজকে পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেনের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ডিজেল-পেট্রোল চালিত গাড়ির মেইনটেনেন্স খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। আর এ গাড়ি বানিয়ে বাংলাদেশে মার্কেট করবো সেটাও সম্ভব হবেনা। এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইলেকট্রিক গাড়ির ডিমান্ড বাড়ছে। আর ইন্টারনাল কম্বুইশন ইঞ্জিনের (আইসিই) গাড়ির ডিমান্ড কমছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনাল কম্বুইশন ইঞ্জিনের (আইসিই) গাড়ি সারা পৃথিবীতে ওভার ক্যাপাসিটি। আমরা এখানে বানিয়ে যে দামে বেঁচবো তার চেয়ে অনেক কমে কিন্তু সারা গৃথিবীতে পাওয়া যাবে। আমরা যদি ডিউটি ওয়াল দিয়ে এটিকে বাঁচিয়ে রাখি তবে যখন ডিউটি সরে যাবে তখন আর এটা বাঁচবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ হচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ি। ইলেকট্রিক গাড়ি সারা ওয়ার্ল্ডে এখনো সেভাবে গ্রো করেনি। তাই বাংলাদেশ সরকার এখন যদি তার পলিসিতে ইলেকট্রিক গাড়ির উপর ফোকাস দেন তাহলে আমরা ‘মেইডইন বাংলাদেশ’ ইলেক্ট্রিক গাড়ি তৈরি করতে পারব। যেমন সরকারের সহায়তায় টু হুইলার, থ্রি হুইলার, ফোর হুইলার চায়না অনেক আগেই শুরু করেছে। ভারত গত ২ বছর থেকে করছে।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনভারমেন্টের ওপর প্রাইজ পেয়েছেন। আর এই এনভারমেন্টের ওপরই কাজ করছেন তিনি। ইলেকট্রিক গাড়ির একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো এনভারমেন্ট ফেনী। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের ইকোনমিক পলিসিতে যদি ইলেকট্রিক ভেহিকেলকে এনকারেজ করা হয়, সাবসিডাইজড করা হয় পাশাপাশি হোম সোলার পাওয়ারে সরকার ৫০ ভাগ সাবসিডি দেন তাহলেই কেবল ইলেকট্রিক গাড়ি ‘মেইডইন বাংলাদেশ’ করা সম্ভভ।

তিনি বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সরকারের সেভাবে সহায়তা লাগবেনা তবে প্রথম পাঁচ বছর ডিউটি ফ্রি করে দিতে হবে। একটা ইলেকট্রিক গাড়ির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই হচ্ছে ব্যাটারির খরচ। যার জন্য সরকারকে আপাতত ভর্তুকি দিতে হবে ৫ বছর। কাস্টমারদের জন্য ইলেকট্রিক গাড়িতে বেশি ভর্তুকি না দিলে কেউ এটা কিনবে না। চার্জিং স্টেশন আমরাই বসাবো তবে সরকারের লাগবে বিভিন্ন জায়গায় এগুলো প্লেস করার জন্য পলিসি। আর যে গাড়ি আমরা তৈরি করব এটা বাসা থেকেই চার্জ করা যাবে। গাড়িগুলোর মাইলেজ বেড়ে ১৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত একক চার্জে চলবে। শুধুমাত্র চলতে চলতে যেখানে চার্জ ফুরিয়ে যাবে সেসব জায়গায় মোবাইল ফোনের মত ২০ মিনিট চার্জ দিলেই গাড়ি আবার চলবে। এখন টেকনিক্যাল অগ্রগতি হয়েছে, ব্যাটারিও অনেক সময় চার্জ থাকে। তাই আমি মনে করি এখনই ইলেকট্রিক গাড়ির বিষয়ে চিন্তা করার মুখ্য সময় বলে মনে করেন,এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান- কর বাহাদুর আব্দুল মাতলুব আহমাদ ।