আনন্দ-খুশির বার্তা নিয়ে এলো ঈদ

লাস্টনিউজবিডি, ০৩ মে: আজ (৩ মে) মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর । দুই বছর পর এবার ঈদ হতে যাচ্ছে মুক্ত-আনন্দের। দীর্ঘ এক মাস সংযম ও ত্যাগের সাধনার পর ঘরে ঘরে, জনে জনে আনন্দ-খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে এই ঈদ।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হয়নি। এবার এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও এবার অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে- সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ ঈদ জামাত।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমানের ইমামতিতে প্রথম জামাত সকাল ৭টা অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. ইসহাক।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী’র ইমামতিতে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারীর ইমামতিতে তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. নাছির উল্লাহ।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হকের ইমামতিতে চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দিন কাসেমের ইমামতিতে পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
উপরে উল্লেখিত ৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
বাণীতে সমাজের বিত্তবানদের দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই যাতে ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে, সেই জন্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে- পবিত্র ঈদুল ফিতরে এ আমার প্রত্যাশা।
এদিকে, সবাইকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে যার অবস্থান থেকে ঈদুল ফিতরের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক। ’
ঈদ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ঈদ সংখ্যা ছাড়াও বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।