ঢাকায় চলবে বায়ুদুষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস: মাতলুব

লাস্টনিউজবিডি, ২৮ মার্চ: এই প্রথম রাজধানীতে চলবে ইলেকট্রিক বাস। যাতে প্রয়োজন পড়বে না কোন ধরনের জ্বালানী খরচ । থাকবে ব্যাটারিতে চার্জ দেয়ার জন্য চার্জ ষ্টেশন। সাশ্রয়ী খরচে এই বাস আনছে বামার প্রেসিডেন্ট ,এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ,বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি ও নিটল -নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কর বাহাদুর আবদুল মাতলুব আহমাদ ।

গেল ২৩ ও ২৪ নয়া দিল্লীতে অনুস্ঠিত বামার আর্ন্তজাতিক সামিট এর দ্বীতীয় দিনে ভারতের বাস উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠান জেবিএম কোম্পানীর সাথে এই বাস আমদানীর বামার প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমাদের সাথে একটি সমঝোতা সই হয় ।

এই সমঝোতা অনুযায়ী প্রথমিকভাবে ৫২ আসনের ২ টি বাস কোম্পানী দিবে । এর মধ্যে একটি ফ্রি। বায়ু দুষণমুক্ত এই ইলেকট্রিক বাসের জন্য বাংলাদেশে থাকবে চার্জস্টেশন । রাজধানীর আকাশ থাকবে বায়ুদুষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব।

২৪ মার্চ হরিয়ানা প্রদেশে এই বাস ফ্যাক্টরী পরিদর্শন কালে কর্মকর্তারা জানান , প্রতি বছর তারা ১০ হাজার বাস তৈরী করে । বিশ্বের ৩৫ দেশে তাদের অফিস রয়েছে । বাস মালিকরা এখন দুষনমুক্ত বাসের দিকে ঝুকছে । যার নেই কোন বাড়তি ঝামেলা । প্রায় ৮৫ একর এলাকা নিয়ে এই বাস উৎপাদনকারি কারখানায় ৮০ হাজার জনবল কাজ করে।

সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে ঢাকায় দেখা যাবে এই বাস । চুক্তি অনুষ্ঠানে বামার সেক্রেটারী জেনারেল দ্বীন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগ করতে জেএমবি কোম্পানী আগ্রহ প্রকাশ করছে । যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের সুখবর এবং আকমার সামিটে যোগদানে বাংলাদেশের বিরাট সফলতা ।
রাজধানীতে বর্তমানে ১২০টি কোম্পানির মালিকানাধীন প্রায় সাত হাজার গণপরিবহন চলাচল করছে। এসব গণপরিবহনের মধ্যে মাত্র ৩০৮টি বাস সিএনজিতে চলে। বাকি বাসগুলো চলে ডিজেলের মাধ্যমে। ফলে যানবাহন থেকে প্রতিনিয়ত নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায়। এছাড়া বিআরটিসির নিবন্ধন অনুযায়ী ১১ লাখের বেশি যানবাহন রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করে ।

ইলেকট্রিক বাসের ক্ষেত্রে কলকাতার পথ চলা কিন্তু নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত ২০১৯ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্র্যান্সপোর্ট অথরিটি ইলেকট্রিক বাসের সংযোজন শুরু করে। বাসগুলি সম্পূর্ণ ভারতেই উত্পাদিত।