লাশ ও রোগী জিম্মি করে চাঁদাবাজি: আটক ৭

লাস্টনিউজবিডি, ২২ ফেব্রুয়ারি: লাশ ও রোগী আনা নেওয়ার কাজে মাইক্রোবাস বা অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাজশাহীতে চাঁদা আদায় করতো একটি সিন্ডিকেটটি। এঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে এই সিন্ডিকেটটির ৭ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক সাত সদস্য হলেন মো. আব্দুল্লাহ (৩২), মো. রাজন (৩৫), মো. বাদশা (৪০), এমদাদুল হক (৪০), মো. বিপ্লব (৫০), জাহিদ হাসান (২৬) ও জানারুল ইসলাম (২৮)। তারা রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।
আরো পড়ুন:
ফিল্মি স্টাইলে পুলিশের চোখে গুরা মরিচ ছিটিয়ে স্বামী ছিনতাই
তামিমাকে আমি আর ফেরত নিতে চাই না: জানালেন রাকিব
হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, দুস্থ, সাধারণ, নিম্নবিত্ত পরিবারকে চাহিদা মোতাবেক বা জোর করে অ্যাম্বুলেন্স বা মাইক্রোবাস সুবিধা দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে তারা। গতকাল রোববার এক রোগীর মরদেহ বহন নিয়ে মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্তি অর্থ আদায়ের পর মূল বিষয়টি সামনে আসে।
তিনি আরও জানান, রোববার বিকেলে মহানগরীর লক্ষীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল আবেদীন নামে মেহেরপুরের এক ব্যক্তি মারা যান। স্বজনরা নিজস্ব গাড়িতে করে মরদেহটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আব্দুল্লাহ ও রাজন তাদের বাধা দেন। তারা ওই মরদেহ আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে বলেন, এখান থেকে কোনো মরদেহ নিজ এলাকায় নিয়ে যেতে হলে তাদের মাইক্রোবাসে করেই নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে মরদেহ বহনকারী মাইক্রোটির জন্য স্থানীয় সমিতিকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এভাবে তারা মরদেহ আটকে রাখেন। পরে বাধ্য হয়ে মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) খবর দেয়। এরপর প্রথমে আব্দুল্লাহ ও রাজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশবহনকারী সরকারি কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এই সুযোগে লাশবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে মৃতব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। এমনকি বাহির থেকে যদি কেউ লাশ বহনকারী গাড়ি নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে তারা মৃতব্যক্তির স্বজনদের থেকে চাঁদা আদায় করে।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনালের শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমার জানা মতে সরকারি কোনো হাসপাতালে লাশবাহী সরকারি কোনো অ্যাম্বুলেন্স থাকে না। তবে লাশবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই রামেক হাসপাতালের ৮টি গেটের পাঁচটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়া বাহিরপথ ও প্রবেশপথ আলাদা করা হয়েছে।’
লাস্টনিউজবিডি/রাসেল
সর্বশেষ সংবাদ
Comments are closed