ক্ষমতায় থাকার জন্য আ.লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে: খন্দকার মোশাররফ

লাস্টনিউজবিডি, ২২ ফেব্রুয়ারি: গায়ের জোরে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
আরো পড়ুন :
তামিমাকে আমি আর ফেরত নিতে চাই না: জানালেন রাকিব
সংসদ সদস্য পদ থেকে বাদ পড়লেন পাপুল
হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে যখন আমরা রাস্তায় কথা বলতে যাই, সামান্য প্রতিবাদ করতে যাই আপনাদের সহ্য হয় না। এজন্য যে, আপনারা (ক্ষমতাসীন দল) দূর্বল। বিএনপিকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নাই। বিএনপি যদি দুর্বল হবে তাহলে ২৯ তারিখ রাত্রে আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন কেনো, বিএনপি যদি দুর্বল হবে রাস্তায় আমাদের বক্তৃতা পুলিশ দিয়ে মাঝপথে থামালেন কেনো? কারণ আপনারা বিএনপিকে ভয় পান, জনগনকে ভয় পান।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এদেশে ৫০ বছরের প্রাক্কালে আমরা বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হই যে, একু্শের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আকাংখা, স্বাধীনতার প্রত্যাশা আজকে ভুলণ্ঠিত। কারা ভুলণ্ঠিত করেছে? আজকে যারা সরকারে তারা শুধু মাত্র গায়ের জোরে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই, গণতন্ত্রহীনতা, বিচারহীনতা, দলীয়করণ –এমন অবস্থায় নিয়ে আমাদেরকে ফেলেছে যেখানে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা-গুম-খুন, চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী-ক্যাসিনোবাজী, দুর্নীতিসহ হেন অপকর্ম নাই যে বাংলাদেশে হচ্ছে না।’
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখের ওপরে মামলা, ৩৫ লক্ষের ওপরে আসামী। গুম-খুন-বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকার এই দলের নেতা-কর্মীরা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদেরকে কথা বলতে দেয়া হয় না। আজকে কী অবস্থা? দে্শে গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই,মানুষের প্রত্যাশা পুরণ হয় নাই। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তো মানু্ষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছিলো আমাদের বীর বাঙালীরা।”
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা যে ভাষার জন্য লড়াই করেছি, যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, বিজয় আমাদের সূচিত হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা এখনো অর্জিত হয়নি, সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন যেমন আমাদের ভাষার অধিকার তেমনি শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিলো আমাদের স্বাধীনতার প্রাপ্তি। যেই স্বাধীনতার আড়ালে ছিলো একটি চিন্তা- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা আমরা এখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নাই। গণতন্ত্র বিহীন রাষ্ট্রে বসবাস করা আর পরাধীন দেশের নাগরিকের সাথে খুব একটা আলাদা ভাবা যায় না।’
লাস্টনিউজবিডি/রাসেল
সর্বশেষ সংবাদ
Comments are closed