সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন কমছে ডিএসইতে

লাস্টনিউজবিডি, ২৯ জানুয়ারি: গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৩ পয়েন্ট হারায়। এছাড়াও অন্যান্য সূচকও হারায় পয়েন্ট। তার ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সব সূচক নিম্নমুখী ছিল আগের সপ্তাহেও। সপ্তাহের শুরুতেই সূচকটি ২১ পয়েন্ট হারায়, অবস্থান নেয় ৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে। পরের দুই কার্যদিবসে আরো ১২০ পয়েন্ট হারিয়ে নামে ৫ হাজার ৭শ’র নিচে। যদিও শেষ দু’দিনে ২৯ পয়েন্ট যোগ হয়ে ডিএসইএক্স দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে।
সপ্তাহ ব্যবধানে শরিয়াহ সূচক কমেছে ১৪ আর বাছাইসূচক ডিএসই৩০ কমেছে ১৭ পয়েন্ট। ১ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা থেকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন নেমেছে ১২৩ কোটিতে।
বাজার বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, গত সপ্তাহে অনেকটা মিশ্র প্রবণতা ছিল পুঁজিবাজারে। টানা কয়েক সপ্তাহ দাম বৃদ্ধির পর গত দুই সপ্তাহে মুনাফা তুলতে বিক্রির চাপ লক্ষ করা গেছে। এতে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম পড়ে গেছে।
বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তাদের গত প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশ করেছে। আইপিও সাবস্ক্রিপশন হচ্ছে এবং পাইপলাইনে আরো কয়েকটা আছে। এগুলোরও কিছু প্রভাব আছে।
গত সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, ব্রিটিশ অ্যামরিকান টোব্যাকো, অগ্রণী ইনস্যুরেন্স, আমান ফিড, ইউনাইটেড পাওয়ার, মেট্রোস্পিনিং, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, প্রাইম ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স।
অন্যদিকে দাম হারানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল- সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ড, রবি আজিয়াটা, বিডি ফাইনান্স, সোনালী আঁশ, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, নিউ লাইন ক্লদিং, তাল্লু স্পিনিং, ইনটেক লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, সিএসপিএম ডিবিবিএল ফান্ড।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে অল্প কিছু বড় মূলধনী প্রতিষ্ঠান আছে। যেগুলোর দাম ওঠানামার ওপর মূলত সূচক ও লেনদেনের ওঠানামা বেশি নির্ভরশীল। বিনিয়োগকারীদের তাই খাতভিত্তিক ভালো শেয়ারের বিশ্লেষণ করে অবস্থান নিতে হবে। কেননা বড় মূলধনী শেয়ারের কারণে তা অনেক সময় আড়ালে থাকে আলোচনার।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয় ৩৬৫টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১টির, আর দাম কমেছে ২৫৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম। বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ যা টাকার অংকে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি।
লাস্টনিউজবিডি/ডি
সর্বশেষ
Comments are closed