ধর্ষণের দায়ে ৪০ বছরের কারাদণ্ড ধর্ষকের

লাস্টনিউজবিডি, ১৪ জানুয়ারি: জয়পুরহাটে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং এর জেরে ওই শিশুর আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় এক ব্যক্তিকে ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪৪)। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামে। আদালত তাঁকে ৪০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও ২ বছরের করাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩০ জুন দুপুরে জয়পুরহাটের হরিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কিশোরী খাদিজা বেগম বাড়ির পাশে নিজেদের খেতে যায়। সেখানে তাকে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন মাসুদ। কিশোরীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে মাসুদ পালিয়ে যান।
ওই ঘটনার একদিন পর ২ জুলাই খাদিজা নিজ শয়নকক্ষে বিষপানে আত্মহত্যা করে। পরে তার বাবা হেলালুদ্দিন বাদী হয়ে পরদিন ৩ জুলাই জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ধর্ষকের বিরুদ্ধে ৪২ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আসামি মাসুদ রানা পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল মামলাটি পরিচালনা করেন।
জয়পুরহাট জজ আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/সংশোধিত ২০০৩ এর ৯/১ ধর্ষণ ধারায় যাববজ্জীন অর্থাৎ ৩০ বছর এবং ৯/ক ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এই রায় কার্যকর হবে।
লাস্টনিউজবিডি/ এস এ
সর্বশেষ
Comments are closed