১৪ কোটি ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

লাস্টনিউজবিডি, ১৪ জানুয়ারি: দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। ফলে দেশে ৪-৫কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে তা সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না এমন তথ্য জানালেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে গনমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি ।
বেসরকারি উদ্যোগে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি এবং কিভাবে প্রয়োগ হবে তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনাভাইরাসের টিকা এনে তা দিতে পারবে। তবে নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে। তারা কিভাবে দিবে, কিভাবে হিসাব রাখবে, কি দামে দিবেন- এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেবেন। এটাও ঠিক করে দেওয়া হবে হাসপাতালের মাধ্যমে, কোনো ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
ভ্যাকসিন প্রদানে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী জানান, নভেল করোনাভাইরাসের টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ বা আনসার এর নিরাপত্তায় থাকবে। এটাও বলেছি টিকা যেখানে রাখা হবে সেখানে ফ্রিজটা যেন সঠিকভাবে চালু থাকে। বিদ্যুৎ যেন ঠিকমতো থাকে সেদিকেও নজর রাখা হবে।
সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুটি মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে, যা শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন প্রদানে প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত একটি অ্যাপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
লাস্টনিউজবিডি/ এস এ
সর্বশেষ
Comments are closed