প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া উপহারে দুস্থদের মাথা গোঁজার ঠাই মিলেছে

গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী, লাস্টনিউজবিডি, ১৪ জানুয়ারি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কিছুদিন আগেও নিশ্চিন্তে মাথা গোঁজার ঠাই ছিলনা বাক প্রতিবন্ধী মাকে নিয়ে সংসার চালানো ছোট্র রুবিনার। অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে নির্বাক মা সহ ঝুপড়ি ঘরে থাকা উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্রাথমিকের ২য় শ্রেনীতে অধ্যয়নরত শিশু রুবিনার মুখে এখন খুশীর ঝিলিক। নিশ্চয়তা মিলেছে তার আশ্রয়ের, পড়াশুনার। এমনিভাবে ক’দিন আগেও বসবাসের নিশ্চয়তা ছিলনা একই ইউনিয়নের খুশি আক্তার এর, টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলি গ্রামের নাসিমা বেগমের। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া উপহারের ঘরে মিলেছে এদের মাথা গোঁজার ঠাই।
পটুয়াখালীর উপকূলীয় কলাপাড়া উপজেলায় প্রথম ধাপে সাড়ে চারশ’ ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে দুস্থ মানুষকে। এক একটি ঘরের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। এ ঘরটিতে থাকছে রান্না ঘর, সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সরবরাহকৃত দুস্থদের তালিকা যাচাই বাছাই করে তাদের জন্য সরকারী জায়গা বরাদ্দ দিয়ে তৈরী করে দেয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে যায় খুশী’র আশ্রয়ের শেষ সম্বল বসতঘরটি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সেমিপাকা ঘর উপহার পেয়ে এখন মেয়ে আদুরীকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলছে তার সংসার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এসব ঘর নির্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন জন প্রসাশন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
প্রধান মন্ত্রীর বরাদ্দের ঘর পাওয়া খুশি আক্তার লায়লা বলেন, ’আমার ঘরটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল পৃথিবীতে আমার চেয়ে অসহায় আর কেউ নেই। আমি কোনদিন কল্পনা করতে পারিনি, আমি সরকারের দেয়া বিনামূল্যের পাকা ঘর পাবো। দোয়া করি আল্লাহ্ যেন প্রধান মন্ত্রীকে সুস্থ রাখেন।’
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ’খুশীর বসতঘরটি আগুনে পুড়ে গেছিল। সে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সেমি পাকা ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। এখন তারা সুন্দর ও ভাল ভাবেই বসবাস করতে পারবে।’
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ উপজেলায় মোট ৪৫০ টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। বর্তমানে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।’
লাস্টনিউজবিডি/ এসএ
সর্বশেষ
Comments are closed