নারায়ণগঞ্জে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

লাস্টনিউজবিডি, ১১ জানুয়ারি: নারায়ণগঞ্জে অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ উচ্ছেদ অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের কালিরবাজার ও কেন্দ্রীয় রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় রেলওয়ের জমিতে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় বিভিন্ন দোকান, কয়েকটি খাবারের হোটেল, অস্থায়ী বাসস্থানসহ অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও উপ সচিব (ডেপুটি কমিশনার) নজরুল ইসলাম।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল,উপ-পরিচালক মোবারক হোসেনসহ ঊর্ধ্বতনরা রেলস্টেশনে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও উপসচিব (ডেপুটি কমিশনার) নজরুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এরপর তারা উভয়পক্ষ সরেজমিন বিরোধপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যান।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকাল থেকে কেন্দ্রীয় রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ভান্ডারী হোটেল, আল মদিনা বিরিয়ানী হাউস, আল আমিন ফার্নিচারসহ রেলওয়ের জমিতে স্থাপিত অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়। তবে শহরের ঐতিহ্যবাহী মাউরা হোটেল উচ্ছেদের বিষয়ে উচ্চ আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ হোটেলটি সরিয়ে নিতে ৩ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে।
আরও পড়ুন
- অবশেষে ক্ষমা চাইলেন এমপি একরাম
- হরতাল ডাকলো আওয়ামী লীগ
- নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার
- চট্টগ্রামে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন, সম্পাদক হৃদয়
মাউরা হোটেলের মালিক সেলিম আহমেদ হেনা জানান, নারায়ণগঞ্জে ডাবল রেললাইন হবে এটি অত্যন্ত সু সংবাদ। আমরাও এটাকে স্বাগত জানাই। তবে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য এ মাউরা হোটেলটি যা প্রায় ৯০ বছরের পুরনো। আমরা অন্যত্র জমি নির্ধারণ করছি আর সেখানেই আমরা আমাদের গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সবকিছু সরিয়ে নেব। আমাদেরকে তিন মাসের সময় দেয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিনুর রহমান একটি নোটিশ প্রেরণ করেন। যাতে উল্লেখ করা হয়,রেলপথ মন্ত্রণালয়,নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ রেলওয়ে,বিআইডব্লিউটিএ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সরেজমিন শীতলক্ষ্যা নদীর ফোরশোর বা তীরভূমিসহ লিজকৃত সম্পত্তি পরিদর্শন করবেন। উক্ত কমিটি পরিদর্শন না করা পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
লাস্টনিউজবিডি/ এস এ
Comments are closed