বিয়ের দুই মাসে সন্তান জন্ম, মূহুর্তেই তালাক

লাস্টনিউজবিডি, ০৪ জানুয়ারি: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় বিয়ের দুই মাসের মাথায় পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ায় এক নারীকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
গত শনিবার রাতে ভেমরুল্লাহ গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লাহ গ্রামের পুরাতন মসজিদ পাড়ার মোস্তাকিমের সঙ্গে ২ মাস ১০ দিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার ওই নারীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা কোনোভাবেই বুঝতে পারেননি যে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শনিবার রাতে ওই নারীর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

সন্তান জন্ম দেয়া ওই নারী বলেন, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার প্রতিবেশী আশিক (২০) একদিন কিছু একটা দেখানোর জন্য তার ঘরে যেতে বলে। আমি সেখানে গেলে আশিক আমাকে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। রোববার দুপুরে জোরপূর্বক তালাক নামায় সাক্ষর নিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছে আমার স্বামী। তালাক দিলেও এখনো দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেনি। আমি আমার পুত্র সন্তানের স্বীকৃতি চাই।
ওই নারীর স্বামী মোস্তাকিম এ বিষয়ে বলেন, বিয়ের পর আমার স্ত্রী বিভিন্নভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেতো। তাই আমার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।’ রোববার দুপুরে ওই নারীকে তালাক দেন স্বামী মোস্তাকিম।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর খোকন বলেন, আলোকদিয়া গ্রামের এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যায় ওই মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে পুত্র সন্তান প্রসব করে। পরে বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে তালাক হয়েছে বলে শুনেছি।
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
লাস্টনিউজবিডি/ওএফ
Comments are closed