২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় বিটিআরসির

লাস্টনিউজবিডি, ৫ ডিসেম্বর: ২০১৯-২০ অর্থবছরে চার হাজার ৭১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা ছিলো প্রতিষ্ঠানটির বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।
বিটিআরসি’র তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লাইসেন্স ফিতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ রাজস্ব আয় হয়েছে ৭২১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, লাইসেন্স অ্যাকুইজিশন ফি আট কোটি ৬৯ লাখ টাকা, অ্যাপ্লিকেশন ও মূল্যায়ন ফিতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা।
এছাড়া প্রশাসনিক ও অবৈধ অপারেশনজনিত জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা, ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট কর্তৃক রাজস্ব আদায় হয়েছে দুই হাজার ১৩৮ কোটি টাকা ও বিলম্ব ফি থেকে আয় ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, শেয়ার ট্রান্সফার ফি বাবদ আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, পারফরম্যান্স ব্যাংক গ্যারান্টি (পিবিজি) থেকে আয় ১৪ লাখ টাকা এবং অন্যান্য আয় আট কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এদিকে, বিটিআরসি’র প্রশাসনিক ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং মূলধনি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সর্বমোট রাজস্ব ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। প্রশাসনিক ও রাজস্ব ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং মূলধনি ব্যয়ের পরিমাণ তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৩২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিটিআরসি’র আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার ৬০ কোটি টাকা; বিপরীতে আয় হয়েছিল প্রায় চার হাজার ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার ৩৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা; আয় হয়েছে প্রায় ছয় হাজার ৪৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ২৫ কোটি টাকা, বিপরীতে আয় হয়েছিল তিন হাজার ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
মোট ব্যয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষ্যে গৃহীত ঋণের কিস্তি এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় পরিশোধ বাবদ প্রায় ১৯৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জানা গেছে, কমিশন ব্যয় সংকোচন নীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করায় রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ অনেক কম হয়েছে। ফলে যেখানে বাজেটে সরকারি কোষাগারে ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ জমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, সেখানে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে চার হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা; যা সরকারি কোষাগারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা বেশি।
লাস্টনিউজবিডি/ এসএমএ
সর্বশেষ সংবাদ
Comments are closed