ক্বাবা ঘরকে ভাস্কর্য বলায় ক্ষমা চাইলেন জিয়াউল

লাস্টনিউজবিডি, ৫ ডিসেম্বর: ভাস্কর্য হবে কি হবে না। জায়েজ কি না জায়েজ। এ নিয়ে যখন সারাদেশে বিতর্ক তুঙ্গে। ঠিক তখনি আলোচনায় চলে আসলো পবিত্র ক্বাবা শরিফকেও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান ভাস্কর্যের সাথে তুলনা করা কথা। আর অবশেষে এই আলেম নিজের ভুর বুঝতে পেরে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ক্বাবা ঘরকে ভাস্কর্য বলাতে ক্ষমা চেয়েছেন।
তিনি জানান, “মুখ ফসকে কথাটা আমার বের হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এটিকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়।”
মাওলানা জিয়াউল হাসানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হল-
একজন প্রেমিক তার প্রেমাস্পদের বাড়ির চতুর্দিকে একঝলক দৃষ্টি পাওয়ার জন্য যেভাবে ঘোরে ঠিক তেমনি পবিত্র কাবা শরিফের চতুর্দিকে আল্লাহ তা’লার সুদৃষ্টিলাভের আশায় মুসলিমরা তাওয়াফ করে থাকেন। তওয়াফের আগে ও পরে সুযোগ পেলে তারা কালো পাথরকে চুম্বন করে থাকেন।
কালো পাথর বাহ্যিকভাবে নিছক একটি পাথর। কিন্তু বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই কালো পাথরকে চুমু দিয়েছিলেন বলে আমরাও এই কালো পাথরকে চুমু দিতে উদগ্রীব থাকি।
হজরত ওমর (রা.) বলেছিলেন, আমি জানি তুমি নিছক একটি পাথর, আমি কখনই তোমাকে চুম্বন করতাম না, যদি আমি রসুল (সা.)-কে না দেখতাম তোমাকে চুম্বন দিতে।
এই বিষয়টাকে তুলে ধরতে গিয়ে আমি চার বছর আগে একটি টেলিভিশনের টকশোতে মুখ ফসকে কাবা শরিফকে ভাস্কর্য বলে ফেলে ছিলাম। বলার উদ্দেশ্য ছিল ইট-পাথরের তৈরি হলেও এগুলো আল্লাহ এবং রসুল (সা.) কর্তৃক স্বীকৃত বিধায় আমাদের নিকট পবিত্র ও সম্মানিত। আল্লাহ এবং তার রসুল (সা.) কর্তৃক স্বীকৃত না হলে সোনায় মোড়ানো বা হাজার কোটি টাকার হীরা মুসলমানদের দৃষ্টিতে সম্মানিতও নয়, পবিত্রও নয়।
চার বছর আগে আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সমস্ত অপচেষ্টাকে তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানাই।
চার বছর পর আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া শব্দ বা বাক্যকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল এখন কেন বিষোদগার করার চেষ্টা করছে তা এ দেশের সুশীল সমাজ বা নাগরিকরা ভালোই বোঝেন। ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজার যেমন স্থান নেই, তেমনি পাথর পূজারও কোনও স্থান নেই। এটি আমরা সকল মুসলমান মাত্রই জানি।
এরপরও হাজরে আসওয়াদ পাথর হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কাছে এটি বিশেষ সম্মানের স্থান দখল করে আছে। এর কারণ কী? কারণ হল আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এটাকে চুমু খেয়েছেন ও সম্মান করেছেন। তথাপি মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন সেজন্য আন্তরিকভাবে আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
লাস্টনিউজবিডি/ এসএমএ
সর্বশেষ সংবাদ
- ডোমার পৌরসভার রাস্তা-ঘাটগুলো এখন কুকুরের দখলে
- এবার ফেসবুকেও নিষিদ্ধ ট্রাম্প
- দুধ-গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড-২ উদ্বোধন
- ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
- বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন এলাকায় ডুবে যাওয়া জান-জাবিন নামক ফিশিং বোট এর জেলেদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এডাব্লিউ-১৩৯ সার্চ এন্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রাম হতে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছে। —- আইএসপিআর
Comments are closed