কবর জিয়ারতের কথা বলে মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার

লাস্টনিউজবিডি, ৩ ডিসেম্বর: আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করার কথা বলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে (১৫) বলাৎকারের অভিযোগে জাহান মিয়া (২৫) নামে এক টমটম চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
ওসি শামীম মুসা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে জাহান মিয়া।
ভুক্তভোগীর মায়ের প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানার সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজুর পর জাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলা দায়ের ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা। তিনি জাহান মিয়া উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে।
মামলার এজাহারে মাদ্রাসাছাত্রের মা উল্লেখ করেন, ‘আমার ছেলে দশঘর ইউনিয়নের দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করছে। গত ২৪ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় পীরের বাজার থেকে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বরুনী ঈদগাহ মাঠের কাছে জাহান মিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় জাহান মিয়া তার আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারতের কথা বলে আমার ছেলেকে বরুনী ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানের বাউন্ডারী দেয়ালের কাছে নিয়ে সেখানেই বলাৎকার করে।’
‘লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে কিছু না জানালেও ওইদিন মাগরিবের নামাজ আদায় করতে পীরের বাজার মসজিদে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময় তার মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
জ্ঞান না ফেরায় পরে তার মাদ্রাসার শিক্ষকরা ও আমি তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বলাৎকারের ফলে তার পায়ুপথ ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় (কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভাষ্য) পরদিন দুপুরে অপারেশনের মাধ্যমে মলত্যাগের জন্যে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়। বর্তমানে সে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।’
লাস্টনিউজবিডি/ এসএমএ
Comments are closed