নাতি নয়, বৃদ্ধের সঙ্গে সম্মতিতেই সেই মেয়ের শারিরিক সম্পর্ক

লাস্টনিউজবিডি, ২ ডিসেম্বর: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে দেয়া সেই মেয়ের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। আর তার উভয়েই নিজেদের সম্মতিতে শারিরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। তবে মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বৃদ্ধের নাতির কোন সম্পর্ক নেই। সে কারণে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সামাজিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
উচ্চ আদালতে জামালপুর পুলিশ সুপারের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
দেওয়ানগঞ্জে নাতির ধর্ষণের দায়ে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দাদার সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আনার পর গত ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশের পর তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই মেয়ের জন্ম ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে। জন্ম সনদ অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মো. মহির উদ্দিন এবং মেয়েটি সম্পর্কে দাদা-নাতিন। তাদের দুজনের ঘর পাশাপাশি। তাদের মধ্যে সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এ সুবাধে মেয়েটি গর্ভবতী হয় এবং সামাজিকভাবে উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মহির উদ্দিনের নাতি শাহিনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্কে বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ সময় আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। মেয়েও অ্যাডাল্ট (প্রাপ্তবয়স্ক)। এখন প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে ছাপানোর ব্যবস্থা নেন।
লাস্টনিউজবিডি/সাজু
Comments are closed