শুধু নগরে নয়, হাওর-বাওড় ও পাহাড়েও ইন্টারনেট দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী‘র

লাস্টনিউজবিডি, ১ ডিসেম্বর: শুধু নগরে নয়, হাওর-বাওড় ও পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিটিসিএলকে এই নিদের্শনা দেয়া হয়। সৌদি আরব, ভারত, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে । আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটান ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রস্তাব দিয়েছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব ও নেপাল।
বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় সৌদি আরব, ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যান্ডউইথ কেনার বিষয়টি উঠে আসে একনেক সভায়।
সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত SEA-ME-WE-6 সাবমেরিন ক্যাবলটি ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর হয়ে ভূ-মধ্যসাগর অবধি বিস্তৃত হবে। ক্যাবলটির কোর ল্যান্ডিং স্টেশন হবে সিঙ্গাপুর, ভারত, জিবুতি, মিশর ও ফ্রান্সে।
বাংলাদেশের ব্রাঞ্চটি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারস্থ ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বিধায় প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। অক্টোবর ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ৬৯৩ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হবে এ প্রকল্পে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে ড. শামসুল আলম বলেন, প্রকল্পটি নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
সৌদি আরব কীভাবে ব্যান্ডউইথ নেবে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশকে থেকে সৌদি-ভারত-নেপাল-ভুটান ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, প্রতিদিন দেশেও ব্যান্ডউইথের চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া ২০২৫ সালে একটি সাবমেরিন ক্যাবল অকেজো হয়ে যাবে।
এ জন্য সময়োপযোগী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় সাবমেরিন ক্যাবল ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে স্থাপন করা হবে। ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার কোর সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ ১,৮৫০ কি.মি. ব্রাঞ্চ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।
৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ (১ম সংশোধিত) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) বাস্তবায়ন করবে।
আরো পড়ুন: মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়ে এমওটিএন প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন
লাস্টনিউজবিডি/ এসএমএ
সর্বশেষ সংবাদ
Comments are closed