বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণে মেতে উঠতো প্রেমিক

লাস্টনিউজবিডি, ৩০ নভেম্বর: সিলেটের এক কিশোরীকে আটকে রেখে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধও খাওয়ানো হতো ওই কিশোরীকে।
স্থানীয় ও পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গেলো ২০ নভেম্বর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যায় জাকির আহমেদ মুহসিন (২৪) নামের এক যুবক। ওইদিন রাত ১০ টার দিকে কিশোরীর বাবা-মা তাদের মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে পরবর্তীতে জানতে পারেন জাকির তাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে ওই কিশোরীর বাবা জাকিরকে অভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিক ইসলাম খান ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং জাকিরকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। অবশেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে শাহপরাণ থানাধীন সিলেট শহরতলির কল্লোগ্রাম এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়াও শাহপরাণ থানাধীন পীরের চক গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও চেরাগ আলীর ছেলে আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, নির্যাতিতা কিশোরী জানান, জাকিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে হঠাৎ জাকির উপস্থিত হয়ে বলে তার সঙ্গে ওই কিশোরীকে পালিয়ে যেতে। পালিয়ে না গেলে জাকির আত্মহত্যার হুমকিও দেয়। পরে ওই কিশোরী ভয় পেয়ে কাউকে না বলে জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
কিশোরীকে নিয়ে ওইদিন রাতে চেঙ্গেরখাল নদীর পারে জাকির আরও চার থেকে পাঁচজন যুবকের সঙ্গে মিলিত হন। জাকির এ সময় এই যুবকদের বন্ধু বলে পরিচয় দেন কিশোরীর কাছে। কিন্তু ওই রাতেই কিশোরীর চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওরা সবাই পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গেলো আট দিনে ওরা সবাই একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও কিশোরীর কথিত প্রেমিকও তার বন্ধুরা পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধ সেবন করান ওই কিশোরীকে।
আর পড়ুন:
অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ
এ ব্যাপারে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাটের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি তদন্তের জন্য জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। এরই আলোকে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ এ বিষয়ে বলেন, তদন্তসাপেক্ষে আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাস্টনিউজবিডি/সাজু
সর্বশেষ সংবাদ
- চীনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল ইরাক
- ভ্যাকসিনের আরও ৫০ লাখ ডোজ আসছে কাল
- দলে কিছুটা পরিবর্তন আসবে : তামিম
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এএমসিতে চাকরি
- চসিক নির্বাচন: মাঠে থাকবে ৯ হাজার পুলিশ সদস্য
- স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করলেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
- রাজশাহীতে ওসির বিরুদ্ধে মামলা
- স্থায়ীভাবে জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষা বাতিলের পরামর্শ
- শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে অনশনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
Comments are closed