আমাদের জন্য সাহায্য ও বিজয় নেমে আসুক

করোনা এখনও পরাজিত হয়নি, সারা দুনিয়ায় এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অদৃশ্য ঘাতক আর প্রতিনিয়তই কেড়ে নিচ্ছে নিরপরাধ মানুষের প্রাণ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এদেশেও করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। কোটি মানুষ যাপন করছে এক অসহনীয় বন্দীজীবন। শুধু মানুষ নয়, মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের সকল তৎপরতাই হয়ে গেছে স্তব্ধ। নিকষ কালো অন্ধকারে যেন ছেয়ে গেছে আমাদের চারপাশ।
এই সূচিভেদ্য অন্ধকারে মানুষ যখন ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসেছে, তাদের নীরব আর্তনাদ ও ক্রন্দন যখন পৌঁছে যাচ্ছে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত, তখন একটুখানি হলেও আশার আলো জ্বালালেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেন, আগামী ৩১ মে থেকে লকডাউন সীমিত আকারে তুলে নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চলবে অফিস-আদালত, চলবে গণপরিবহন, চলবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত, সন্দেহ নেই। কেননা, মানুষ চিরকাল অন্ধকারে বন্দী হয়ে থাকতে পারে না। কোনো দেশ পারে না এভাবে স্থবির হয়ে থাকতে। একটা-না-একটা পর্যায়ে তাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হয়। প্রস্তুত হতে হয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য। দূরদর্শী ও সাহসী প্রধানমন্ত্রী শেখ সেই লড়াইয়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। আর মাত্র এক দিন বাকি। কাল রাত পোহালেই শুরু সেই যুদ্ধের।
এ এক অসম যুদ্ধ। কেননা শত্রূ আছে, আমরা তার মারণ কামড় খাচ্ছি কিন্তু তাকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো মারণাস্ত্র বা ভ্যাকসিন বা ওষুধ এখনও উদ্ভাবন করতে পারিনি। তাই এ লড়াইয়ে আমাদের দায়িত্ব অনেক। সরকার পথে নামার অনুমতি দিয়েছে বলেই আমাদের সর্বত্র ঝাঁপিয়ে পড়লে চলবে না। আমাদের থাকতে হবে সদাসতর্ক। কঠোরভাবে মেনে চলতে স্বাস্থ্যবিধি, অনুসরণ করতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার নিয়ম। তবেই সফল হবে সীমিত চলাচলের সুযোগ। তবেই আমরা এড়াতে পারবো করোনার হানা। তবেই আমরা জয়ী হবো।
আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্য ও বিজয় নেমে আসুক।