আমি নয়, আমরা শব্দে বিশ্বাসী ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ
লাস্টনিউজবিডি, ২ মার্চ: বর্নাঢ্য জীবন ও সফল কর্মময় জীবন স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে ব্র্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘রিমেম্বারিং স্যার ফজলে হাসান আবেদন: এ ভিশনারি চেঞ্জমেকার’ শিরোনামে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির প্যানেল মডারেটর হিসেবে বক্তব্য করেন। আলোচনায় অংশ নেন ব্র্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাকের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সুখেন্দ্র কুমার সরকার, ব্র্যাক ‘আল্ট্রা পুওর প্রোগ্রাম’র সাবেক পরিচালক রাবেয়া ইয়াসমিন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্যোশাল বন্ডিং ক্লাব এই সভার আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, অসহায়-দরিদ্র মানুষের অতি আপনজন ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বুঝতেন না। দরিদ্র তো বটেই, ‘আলট্রা পুওর’ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করেছেন ফজলে হাসান আবেদ। তারা বলেন, ফজলে হাসান আবেদ বলতেন, আমি থাকব না; হয়তো ব্র্যাকও থাকবে না। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে। সেই চিন্তা থেকেই তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলে হাসান আবেদ জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ‘আমি’ নয়, ‘আমরা’ শব্দটি বিশ^াসী ছিলেন।
প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ লিডারশিপ এবং ম্যানেজমেন্টÑ উভয় গুণে গুনান্বিত ছিলেন। তিনি যেমন উৎসাহী করতেন তেমনি দায়িত্বটুকুও বাস্তবায়ন করতেন। তিনি পাবলিক প্রচারণা পছন্দ করতেন না। কিন্তু তিনি যেভাবে মোটিভেট করতেন, সেটা ছিল অসাধারণ। প্রফেসর সালেহ উদ্দিন বলেন, সবচেয়ে ভালো শ্রোতা ছিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তিনি কম বলতেন, শুনতেন বেশি। একই সঙ্গে তার ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনাও সবাইকে অনুপ্রাণিত করছে।
প্যানেল মডারেটরের বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ পরপর পাঁচবার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। কেন হলেন, এর পেছনে তার কী অবদান ছিলÑ সেটা আমাদের উচ্চশিক্ষায় পড়–য়া ৩৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর অনেকেই জানে না। এ সময় তিনি ফজলে হাসান আবেদের জীবনের নানাদিক বর্ণনার পাশাপাশি উপস্থিত সবাইকে এই কৃতিময় মানুষের জীবনী জানতে উৎসাহিত করেন।
সুখেন্দ্র কুমার সরকার বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদন সমন্বিত প্রচেষ্টায় কাজ করতেন। তিনি ‘আমি’ নয়, ‘আমরা’ শব্দে বিশ^াসী ছিলেন। তিনি বলতেন, আমি তো কিছুই করতে পারিনি, সব আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও জনগণের কারণে সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন : সোহরাওয়ার্দীতে ১৪ দলের সমাবেশ বিকালে
ব্র্যাকের ‘আলট্রা পুওর প্রোগ্রাম’র সাবেক পরিচালক রাবেয়া ইয়াসমিন বলেন, ফজলে হাসান আবেদ সবসময় তৃণমূল মানুষের কথা বলতেন। তার ভাষ্যই ছিল- দরিদ্র বিমোচন করতে হবে গ্রামের মানুষের কাছে যেতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে। তবেই তাদের সমস্যা দূর করা যাবে। আর এ কারণেই ব্র্যাকের পিএইডি ডিগ্রীধারী কর্মকর্তাদেরও গ্রামে পাঠানো হত।
লাস্টনিউজবিডি/আখি
- রোজার পণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা
- ২০ হাজার টাকায় মিলত রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন-পাসপোর্ট
- গণফোরাম-পিপলস পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- চবি চারুকলা বন্ধ ঘোষণা, রাত দশটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ
- ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের মতবিনিময়
সর্বশেষ সংবাদ
- রোজার পণ্য আমদানিতে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা
- ২০ হাজার টাকায় মিলত রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন-পাসপোর্ট
- গণফোরাম-পিপলস পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
- চবি চারুকলা বন্ধ ঘোষণা, রাত দশটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ
- ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের মতবিনিময়
- এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবো না : হিরো আলম
- গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’র প্রচারণায় তিশা-মনোজ
- শ্রীবরদীর সিংগাবরুনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান
- আইএমএফের ৫০৯৪ কোটি টাকা ঋণ পেলো বাংলাদেশ
- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ঢাকার ৭ পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা পুনর্নির্ধারণ