কলাপাড়া-রাঙ্গাবালীর পথ-প্রান্তর ছেয়ে গেছে ঈদ শুভেচ্ছা

লাস্টনিউজবিডি, ১৪ জুন, গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: ঈদ-উল-ফিতর এর উৎসবকে সামনে রেখে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পটুয়াখালী-৪, কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী নির্বাচনী
এলাকার পথ-প্রান্তর এখন ছেয়ে গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঈদ শুভেচ্ছা
সম্বলিত রঙীন পোষ্টার, ফেষ্টুন, প্লাকার্ড, ব্যানারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে উন্নয়নের
ধারাবাহিকতা রক্ষায় ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের শ্লোগানে আ’লীগ
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলছেন ’নৌকায় ভোট দিন’। আর জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া
ও তারেক রহমানের ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীরা
বলছেন দেশ ও গনতন্ত্রকে রক্ষায় ’ধানের শীষে ভোট দিন’।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোষ্টার, ফেষ্টুন, প্লাকার্ড,
ব্যানারে ভোটারদের মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে তাদের নাম সহ ইতিবাচক ও
নেতিবাচক নানান দিক। যদিও ভোটাররা সাহস করে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার
পূর্বেই পক্ষ নিতে চাইছেন না কারও। তারপরও ক্ষমতাসীন দলের বেশ ক’জন
মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিরুদ্ধে রয়েছে দলে হাইব্রীড, জামাত সহ বঙ্গবন্ধুর
খুনী মহিউদ্দীনের ভ্রাতুস্পুত্রকে লালন, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি,
মামলা, জমি দখল, স্বস্ত্রীক দুর্নীতির অভিযোগ সহ দলে কোন্দল সৃষ্টির
অভিযোগ। অপরদিকে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতাসীনদের চাপে থাকার পরও প্রচারনায়
থেমে নেই বিএনপি। আর এ আসনের নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে আ’লীগ ও
বিএনপি’র মধ্যে। কিন্তু জাপা (এ), জাসদ (আম্বিয়া-বাদল-প্রধান) ও চরমোনাই
পীরের ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী
থাকলেও তাদের কোন পোষ্টার-ফেষ্টুন নাই মাঠে।
কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৪, ১১৪ নির্বাচনী এলাকা।
এ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে বর্তমান সরকারের। যার
মধ্যে রয়েছে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা, বা.নৌ.জা শের-ই-বাংলা
নৌ-ঘাঁটি, সরকারী-বেসরকারী উদ্দোগে নির্মানাধীন ৫টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র,
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ফোর লেন সড়ক, রেল যোগাযোগ, কুয়াকাটাকে
আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা প্রমূখ। তাই এ আসনে
ক্ষমতাসীন দলের প্রচারনা ও মনোনয়ন দৌড়ে সিনিয়রদের পাশাপাশি এক ঝাঁক
তরুনের নাম শোনা যাচ্ছে জোরে সোরে। এদের মধ্যে যুবলীগ ঢাকা মহানগর
দক্ষিনের সহ-সভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ এ নির্বাচনী এলাকার অস্বচ্ছল,
দুস্থ্য ৩২০০ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার (শাড়ী, লুঙ্গি, জামা, পাঞ্জাবী)
বিতরন করায় তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মাঝে।
বিএনপি’র এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন এবিএম মোশারেফ হোসেন, অধ্যাপক
মোস্তাফিজুর রহমান এবং মো. মনিরুজ্জামান মনির। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের ২১
জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছে আলোচিত ৩ ভাই, যারা হলেন বর্তমান সাংসদ
মো: মাহবুবুর রহমান, অব: সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মিলন, ও মহিব্বুর
রহমান। এছাড়া রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দীন আহম্মেদ,
সাধারন সম্পাদক এসএম রাকিবুল আহসান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও ঢাবি
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির
উদ্দীন, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মনজুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান
কমান্ড’র কলাপাড়া ইউনিট সভাপতি সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা, আওয়ামীলীগ
কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি’র সাবেক সহ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার মিল্টন, যুবলীগ
ঢাকা মহানগর দক্ষিন’র সহ-সভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ, যুবলীগ কেন্দ্রীয়
কমিটির সদস্য এম নয়া মিয়া নয়ন, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
মাহমুদুল আলম টিটো প্রমূখ। এছাড়া জাসদ (আম্বিয়া-বাদল-প্রধান) থেকে এ
আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু।
Comments are closed