মজার কৌতুক

চাচা-ভাগ্নে
চাচা হুজুর। কিন্তু তার ভাগ্নেটা একদম নামাজ পড়ে না। চাচা ভাগ্নেকে অনেক বুঝালেন। কিছুতেই কাজ হলোনা। শেষমেষ চাচা ভাগ্নেকে বললেন।
: তুই এখন থেকে নামাজ পড়লে তোকে ৫টাকা করে দেব।
ভাগ্নেতো কথা শুনে মহা খুশি। সে খুশিমনে নামাজ পড়তে গেল। নামাজ পড়ে এসে চাচাকে বললো,
: চাচা, নামাজ পড়ে এসেছি। এবার টাকা দাও।
: কিসের টাকা? তু্ই নামাজ পড়ছিস নেকী পাইছিস। তোকে আবার টাকা দেব কেন?
: চাচা, আমি জানতাম তুমি এইরকম করবা। আমিও কম যাইনা। আমি নামাজ ঠিক-ই পড়ছি। কিন্তু ওজু করিনাই।
** হেডফোন
বিমান চলছে। এক পেসেঞ্জার হঠাৎ করে হুরমুর করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, “হারামজাদা! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!!”
** মুলার ক্ষেত
করিমমিয়ার মুলার ক্ষেত। পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষিবিশেষজ্ঞের কাছে।
করিমমিয়াঃ ডাক্তারসাব, আমার মুলার ক্ষেততো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কি করি?
কৃষিবিশেষজ্ঞঃ আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে নুন ছিটিয়ে দিন।
করিমমিয়াঃ আহা! কি পরামর্শ? নুনছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলেতো কথাই নেই।
** কৌতুক : (০১) সাঁতার
এক যুবক নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ আপনি কি সাঁতার জানেন?
উত্তরদাতাঃ সাঁতার শেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি, স্যার।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে কি ভেবে আপনি নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন?
উত্তরদাতাঃ মাফ করবেন, স্যার; তাহলে কি আমি মনে করব যে বিমানবাহিনীর আবেদনকারীরা উড়তে শেখার পর আসে।
**কৌতুক : (০২) গরু
লোক- এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইছো, কিভাবে বুঝবো যে তুমি কানা?
ভিক্ষুক- এই যে দূরে একটা গরু দেখতাছেন, ওইটা আমি দেখতাছি না।
**কৌতুক : (০৩) অপেক্ষা
ডাক্তার : আপনার কি হয়েছে?
রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান! আমি মনে হয় ১০মিনিটের মধ্যে মারা যাবো।
ডাক্তার : একটু অপেক্ষা করুন, আমি ২০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসছি।
**কৌতুক : (০৪) ডাক্তার ও রোগী
রোগী : ডাক্তার সাহেব, আমার খুব খারাপ লাগছে। মনে হয় আমি মরে যাবো।
ডাক্তার : কোন চিন্তা করবেন না। ওটা আমার উপর ছেড়ে দিন।
**কৌতুক : (০৫) দাঁত তোলা
এক দাঁতের রোগী ডাক্তারের সঙ্গে ভিজিট নিয়ে তর্ক করছে।
রোগী : একটা দাঁত তোলার জন্য তিনশ টাকা! এটা তো এক মিনিটের কাজ।
ডাক্তার : আপনি চাইলে আমি আরো সময় নিয়ে তুলে দিতে পারি।
Read 0 Comments… >>
Bengali Jokes কৌতুক 170409
কৌতুক – ১৬ : বাঘ
খুব দুই বন্ধু সুন্দর বনে বেড়াতে গেল। হঠাৎ একটা বাঘ তাদের সামনে এসে হাজির!
১ম বন্ধু বাঘের চোখে একটা ঢিল মেরে দিল একটা দৌড় এবং ২য় বন্ধুকে বলল, দোস্ত, দৌড়ে পালা ….
২য় বন্ধুঃ আমি পালাবো কেন ? আমি কি বাঘের চোখে ঢিল মেরেছি নাকি? তুই বাঘের চোখে ঢিল মেরেছিস , তুই-ই দৌড়ে পালা !!
কৌতুক – ১৫ : রাগ
একদিন ছেলে বসে পড়ছিল তখন বাবা ছেলের পাসে বসল-
বাবা: তুই সারাদিন এমন চুপ চাপ থাকিস কেন?
ছেলে: কেন বাবা আমিতো কথা বলি।
বাবা: তোকে অযথা এত বকাঝকা করি অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।
ছেলে: কেন বাবা, আমিতো প্রতিবাদ করি।
বাবা: কই করিস? আমি যে দেখি না।
ছেলে: কেন বাবা তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।
বাবা: টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কি করিস যে রাগ কমে?
ছেলে: টয়লেট ব্রাশ করি।
বাবা: টয়লেট ব্রাশ করলে কি রাগ কমে?
ছেলে: কেন আমি তোমার ব্রাশ (দাঁতের) দিয়ে টয়লেট ব্রাশ করি।
কৌতুক – ১৪ : উপদেশ
একটা ঝাঁটা হাতে নিয়ে মুমূর্ষু বাবা ডাকলেন তাঁর ছেলেদের।
একটি ঝাঁটার কাঠি নিয়ে তা ভেঙে ফেললেন। এটা দেখিয়ে তিনি ছেলেদের বললেন, “দেখলি তো, একটা কাঠি সহজেই ভেঙে যায়।”
এরপর দশটি কাঠি হাতে নিয়ে ছেলেদের সেদিকে তাকাতে বললেন।
একটু চেষ্টা করতেই ১০টি কাঠিই ভেঙে গেল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাবা বললেন, “দুর! ভেবেছিলাম, খুব ভালো একটা উপদেশ দেব তোদের! হলো না!”
কৌতুক – ১৩ : ফ্যামিলি প্রব্লেম
এক বাংলাদেশী আর এক আমেরিকান বারে বসে একটার পর একটা মাল খেয়ে যাচ্ছে আর গল্প করছে। বাংলাদেশী বলল, জানিস আমার বাবা-মা আমার জন্যে গ্রামের একটা মেয়েকে ঠিক করেছে। একে বলে এরেঞ্জড ম্যারেজ। আমি কখনও তাকে দেখিনি। আমি এমন কাউকে বিয়ে করতে চাইনা যাকে আমি ভালবাসি না। আমি খোলাখুলি তাদের এসব বলে দিয়েছি, এখন ভয়াবহ ফ্যামিলি প্রব্লেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
আমেরিকান বলল, লাভ ম্যারেজের কথা বলছ। আমার গল্প বলছি, আমি এক বিধবাকে বিয়ে করেছি, যাকে আমি প্রচন্ড ভালবাসি এবং তিনবছর ডেট করেছি তার সাথে। কয়েকবছর পরে আমার বাবা আমার স্টেপ-ডটারের প্রেমে পড়ে, তাই আমার বাবা হল আমার সন-ইন-ল, আমি হলাম আমার বাবার শ্বসুর। আমার মেয়ে হল আমার মা, বউ দাদী।
সমস্যা আরও বাড়ল যখন আমার একটা ছেলে হল। আমার ছেলে হল আমার বাবার ভাই তাই আমার চাচা। আরও গুরুতর হল যখন আমার বাবার আরেকটি ছেলে হল। এখন আমার বাবার ছেলে মানে আমার ভাই হল গিয়ে আমার নাতি।
শেষ পর্যন্ত আমি নিজে আমার দাদা এবং নিজের নাতি হলাম। আর তুমি বলতেছ ফ্যামিলি প্রবলেম !!
You must be logged in to post a comment Login