প্রকাশিত: ৯:৫০:০০ পূর্বাহ্ণ, ৮ মার্চ, ২০২৫
ফাইল ছবি
লাস্টনিউজবিডি ৮ মার্চ: আজ ৮ মার্চ, বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য— “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন”, যা নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্বকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই বিশেষ দিনের সূচনা ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ, যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি সুই কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের কারণে অনেক নারী গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন। তিন বছর পর, ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠিত হয় নারী শ্রমিক ইউনিয়ন।
১৯০৮ সালে বস্ত্রশিল্পের প্রায় দেড় হাজার নারী শ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করে তাদের অধিকার আদায় করেন। পরবর্তীতে, ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মান নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী দিনটি নারীদের অধিকার ও সমতার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি নানা অনুষ্ঠান ও সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এ দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় : ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখসারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এ গণ অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমি এ গণ অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছেন। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
লাস্টনিউজবিডি/জে আই
সারাদিনের শিরোনাম এবং হাইলাইট, প্রতিদিন সকালে সরাসরি আপনার কাছে।
ইমেইল :
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কপিরাইট © ২০২৫লাস্ট নিউজ বিডি