সাবেক মন্ত্রী মিজানূর রহমান শেলীর মৃত্যুতে ফখরুলের শোক

লাস্টনিউজবিডি, ১৩ আগস্ট: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের মন্ত্রী, রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক লেখক মিজানূর রহমান শেলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবাণীতে তিনি বলেন, মিজানূর রহমান শেলীর মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের ন্যায় আমিও সমব্যথী। একজন গুণী, সুশিক্ষিত, সংস্কৃতবান ও রুচিশীল মানুষ হিসেবে তিনি সর্বমহলে সমাদৃত ছিলেন। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মিজানূর রহমান শেলী সাহিত্যের নানা বিষয়ের চর্চা করতেন। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ও আলোকিত মানুষ। একজন সুলেখক হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে তিনি যেসব পেশার সঙ্গে কাজ করেছেন সেসবের প্রত্যেকটিতে দক্ষতা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখেছেন।
শোকবাণীতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, মিজানূর রহমান শেলী সমাজসেবার নানা কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। তার মতো একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদের মৃত্যু দেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।
‘আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
মিজানূর রহমান শেলীর ছেলে আরিফ ইবনে মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তার স্ট্রোকও হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, তার বাবার মরদেহ আপাতত শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার তাকে দাফন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: দুই নাতনিকে নিয়ে বাসার খাবার খেলেন খালেদা জিয়া
মৃত্যুর আগে শেলীর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সের চেয়ারম্যান ছিলেন। বেসরকারি গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিডিআরবি) প্রধান হিসেবেও কাজ করতেন সাবেক এই মন্ত্রী।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা।
১৯৪৩ সালে, মুন্সীগঞ্জের কুসুমপুর গ্রামে মিজানূর রহমান শেলীর জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে সেখানেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে। শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৬৭ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন তিনি। চাকরিতে থাকা অবস্থায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পিএইচডি করেন।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক থাকা অবস্থায় ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরি ছাড়েন শেলী। পরে এইচএম এরশাদ সরকারের তথ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
তিনি সাপ্তাহিক ‘সচিত্র স্বদেশ’ এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ছাড়া ইংরেজি দৈনিক ‘বাংলাদেশ টাইমস’ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শেলী বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখতেন। সমাজবিজ্ঞান ও রাজনীতি বিষয়ক বই ছাড়াও কবিতা, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন তিনি।
লাস্টনিউজবিডি/নিরব
- জানেন, কেন বিরিয়ানির হাঁড়ি লাল কাপড়ে মোড়া থাকে?
- ভুলেও বিয়ের আগে খাবেন না যেসব খাবার
- কান ধরে ওঠবোস করলেই উপকার!
- বেঁটে নারী আর লম্বা পুরুষেই রোমান্স খানিক বেশি
- দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো যেসব অভিনেত্রীরা!
- যে ৫ অঙ্গ বড় হলে নারীদের সৌভাগ্যবতী ভাবা হয়!
সর্বশেষ সংবাদ
- আসামে আন্দোলনের জেরে আটকে আছে প্রচুর পর্যটক
- আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে কিশোরীকে ধর্ষণ
- বোরিস জনসনকে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- পুরনো গাড়ি আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ কমানোর দাবি বারভিডা’র
- আগামীকাল সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ
- আপলিংক বর্ধনের দ্রুততম যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে একসাথে জেডটিই ও চীন টেলিকম
- সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন ব্রিটেনের রাণী
- তীব্র শীতে কাতর রাণীশংকৈলের মানুষ
- সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ
- জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদের ইন্তেকাল
- দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক ৩ দিনের রিমান্ডে
- শেষ মুহুর্তে দুই মন্ত্রী যে কারণে ভারত সফর বাতিল করলেন