১১ বছর ধরে শিকল বন্দি কিশোর মুন্নার জীবন

বিধান চন্দ্র দাস,লাস্টনিউজবিডি,০৯ জুলাই,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ৭ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হলে কিছুদিন সুস্থ থাকার পর আবার আগের মতো অসুস্থ হয়। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি মুন্নার। তার বয়স বর্তমানে ১৮ বছর। ১১ বছর ধরে পায়ে শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে বারান্দার খুঁটির সাথে।
তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট গ্রামে। সেখানেই ১১ বছর ধরে শিকল বন্দী জীবন পার করছেন মুন্না।
তার মা মনোয়ারা বেগম জানান, অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত কয়েক বছর থেকে সে এলাকাবাসীর বিভিন্ন লোকসান করে। কারো গরু ছাগল মারধর, মানুষ মারধর, অনেকের সবজি-ক্ষেত নষ্ট করে। মেয়ে মানুষ দেখলে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে এমনকি নিজের পরিবারের লোকজনদের কাছে পেলে আঘাত করার চেষ্টা করে। এজন্যই পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার সকাল সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিনের চালার একটি ঘরের বারান্দায় শিকল পাঁয়ে মাটিতে বসে আছে মুন্না। শরীরে শুধু পেন্ট পরা আর কোন কাপড় নেই। ৩ বোনের মধ্যে মুন্না সবচেয়ে বড়। তাঁর বাবা মুনসুর আলী (৫৫) একজন সামান্য গরু ব্যবসায়ী।
বর্তমানে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা মুনসুর আলী। মুনসুর বলেন, সামান্য একজন গরুর দালালির (ব্যবসায়ী) কাজ করি আমি। কাজ না থাকলে আমি দিনমজুরের কাজ করি। দৈনিক ৩০০-৩৫০ টাকা এই টাকা দিয়ে সংসার চালাবো না মুন্নার চিকিৎসা করবো ভেবে পাচ্ছিনা। তারপরেও সে টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তার চিকিৎসা করছি। দৈনিক ১০০ টাকার ঔষুধ লাগে মুন্নার। অবশিষ্ট টাকায় সংসারের খরচ চালাই। এভাবেই কষ্টের মধ্যে চলছে আমাদের জীবন। অর্থের অভাবে পুরোপুরি ভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পেরে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখতে হচ্ছে। আমি বাবা হয়ে আর ছেলের কষ্ট সইতে পারিনা।
সেই সাথে ছোট খাটো নানা সমস্যার মধ্যে দিন পার করছি। সরকারিভাবে আমাদের কোন ভাতাও দেওয়া হচ্ছে না। যদি কিছু সহযোগিতা পেতাম তাহলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে পারতাম। প্রতিবন্ধী মুন্নার চিকিৎসা এবং পরামর্শ আশা করেন তার অসহায় বাবা। তিনি সরকারি সহায়তা চান ছেলের চিকিৎসার জন্য।
এ ব্যাপারে ১০নং জাবরহাট ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। মুন্নাকে চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার জন্য তার বাবাকে সহযোগিতা করবো। সেখানে গেলে হয়তো সে ভালো হতে পারে।
লাস্টনিউজবিডি/আনিছ
- দেশের মানুষ পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি: হাইকোর্ট
- সাবেক ডিআইজি প্রিজন পার্থের মামলার তদন্তের অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট
- মানবতাবিরোধী অপরাধে টিপু সুলতানের মৃত্যুদণ্ড
- রাজশাহীর টিপু সুলতানের রায় আজ
- ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা তদন্তের নির্দেশ
- সখিপুরের ইউএনও এবং ওসিকে হাইকোর্টে তলব
সর্বশেষ সংবাদ
- খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি আজ
- কেরানীগঞ্জের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
- নাগরিকত্ব বিল ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে দুর্বল করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আমাদের আগামী দিনগুলো খুব চ্যালেঞ্জিং: ওবায়দুল কাদের
- কুড়িগ্রাম আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা
- গলাচিপায় গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন
- বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে ইসলামপুরে মানববন্ধন
- দেশের মানুষ পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি: হাইকোর্ট
- ডিএমপি’তে এডিসি ও এসি পদমর্যাদার ছয় কর্মকর্তার বদলি
- রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে যুক্তরাজ্য: রাষ্ট্রদূত
- অধ্যক্ষের কক্ষে বিষপানে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
- পুলিশের পেশাদারিত্ব আস্থার জায়গায় এসেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী