বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবীতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ

মো:অাব্দুর রহিম, লাস্টনিউজবিডি, ৩১ জুলাই, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এ যাবৎ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ১৪ জন নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সহ অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অপসারণ এবং প্রক্টরের প্রত্যাহারের দাবীতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) একাডেমিক ভবন-১,২ এবং লাইব্রেরী ভবনের সামনে অবস্থান করে ভবন গুলোতে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে তারা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের নির্ধারিত সময়ের পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতি বিভাগের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে অসাদাচরণের অভিযোগ এনে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবিএম বদরুল হায়দার রিয়েল,সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান মাহমুদ ও সাজ্জাদ হোসেন প্রমেল।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এ ঘটনায় শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ অ্যান্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান দিব্যদ্যুতি সরকারকে আহ্বায়ক করে ওই দিনই ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা এ বি এম বদরুল হায়দার জানান, ”অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ দেওয়ান কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি মন্তব্য করেন। আমি সহ দলের কয়েকজন ওই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে ওই মন্তব্যের ব্যাপারে আপত্তি জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করি । কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করার ঘটনার বিচার না করে উল্টো আমরা যারা প্রতিবাদ করেছি তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া তদন্ত কমিটি বিবাদী পক্ষের সাথে কোন যোগাযোগ না করেই একচেটিয়া ভাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জনাব মাসুম মিয়ার সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ”এ ব্যাপারে উপাচার্য মহোদয় ছাত্রলীগের সভাপতি , সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনায় বসেছেন। আশাকরি দ্রুত এর সমাধান হবে।”
লাস্টনিউজবিডি/এফএ
Comments are closed