সুপার মার্কেটের পণ্যে ভ্যাট বাতিলের দাবি

লাস্টনিউজবিডি,১১এপ্রিল,নিউজ ডেস্ক:অসম ভ্যাট আদায়ের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে সুপার মার্কেটের ক্রেতারা। এ কারণে সুপার মার্কেটের পন্যের ওপর ৪ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশন।বুধবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তারা এ দাবি করেন।বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।জাকির হোসেন বলেন, ভ্যাট আদায়ের জটিলতা ও অব্যবস্থাপনার কারনে সুপার মার্কেটের অনেক পন্য কিনতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে ক্রেতারা। এসব মার্কেটের ওইপন্য কিনতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কিন্তু খোলা মার্কেটে থেকে কিনলে তা গুনতে হচ্ছে না। কারন সুপার মার্কেটে যেভাবে ভ্যাট আদায় করা
হচ্ছে খোলা মার্কেটের তার ধার ধারে না। এ ভ্যাট আদায়ের অব্যবস্থাপনার কারনে সুপার মার্কেটগুলো ক্রেতা হারাচ্ছে। তাই সঠিক রাজস্ব আহরন স্বার্থে সুপারমার্কেটের পন্য কেনার ওপরে ৪ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করা দরকার না হলে খোলা মার্কেটের ক্রেতারা যেন এ ভ্যাটের আওতা আসে সেই পদক্ষেপ নেবার দাবি করেন।একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সুপার ও খোলা মার্কেটের অসম ভ্যাট হার দুর করে সমান ভ্যাট রাখাসহ প্যাকেজ ভ্যাট দাবি করেন জাকির হোসেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, অসম ভ্যাট হার আমরা দুর করব। ভ্যাটের জটিলতা ও গুরুত্বপূর্ন বিযয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে আপনাদের বলছি, আপনারা জনগনের দেয়া ভ্যাট ফাঁকি না দিয়ে এনবিআরে পৌছে দিবেন। মনে রাখতে হবে রাজস্ব দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয়।প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিকিউরিটি সার্ভিসেস কোম্পানীজ ওনার্স এসোসিয়েশন নেতারা বলেন, বর্তমানে ৭০০টি প্রাইভেট সিকিউরিটিজ
কোম্পানি রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশর সুবর্ণ জয়ন্ত্রী উৎযাপন উপলক্ষে আর্থ সামাজিক উন্নয়নও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ( পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ -পিপিপি) বিশেষ ভুমিকা বজায় রাখতে করপোরেট করমুক্ত রাখার দাবি। এছাড়া আয়কর ওটার্নওভার করমুক্ত রাখার দাবি করেন নেতারা। আউট সোসিং এসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, জোর করে নয় হাসি মুখে কর দিতে চাই। এ ব্যাপারে এনবিআর কর্মকর্তাদের সহায়তা চাই। আবার গ্রাম
পষায়ে শিক্ষার অবস্থা খুবই নাজুক। আমরা সেই পষায়ে সেবা দিতে চাই। সেই সেবা দিতে এনবিআরের সহয়তা চাচ্ছি। একই সঙ্গে রাজস্ব বাড়াতে নতুন ভ্যাটআইনের আদায়ে তিন স্ল্যাবে (স্তর) নেবার দাবি করেন।
লাস্টনিউজবিডি/আবদাল/এফ এম রহমান
Comments are closed