‘থেমে নেই বিনিয়োগ, নতুন নতুন গার্মেন্টস হচ্ছে’

লাস্টনিউজবিডি, ০৩ মার্চ, নিউজ ডেস্ক: রানাপ্লাজা উত্তর পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ থেকে থাকেনি, নতুন নতুন গার্মেন্টস হচ্ছে, যা উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল। এমনটি কারাখানা পর্যায়ে এসেছে ইতিবাচক বেশ কিছু পরিবর্তন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব এ তথ্য। অনগোয়েইং আপগ্রেডেশণ ইন আরএমজি এন্টারপ্রাইজ; রেজাল্ট ফ্রোম এ সার্ভে শীর্ষক এ গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
গবেষণা জরীপের এর মূল উদ্দেশ্য হলো পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে কি ধরণের অগ্রায়ন হচ্ছে। আজ প্রাথমিক গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়েছে। চূড়ান্ত গবেষণা ফলাফলে আরো গভীর তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গবেষণার ফলাফল নিয়ে (সিপিডি)-এর সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই গবেষনায় প্রধান প্রধান পাঁচটি অংশ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পরে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে বড় কি ধরণের পরিবর্তন হচ্ছে। সেটাকে সামনে রেখে একটি নমুনা জরিপ পরিচালনা করা। ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান ও দুই হাজারের উপরে শ্রমিকদের নিয়ে এ নুমনা জরীপ পরিচালিত হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল হচ্ছে রানাপ্লাজা উত্তর পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ থেমে থাকেনি, নতুন নতুন গার্মেন্টস হচ্ছে। এমনকি কারাখানা পর্যায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। যেমন- ব্যক্তি মালিকানা থেকে গার্মেন্টেস লিমিটেডে পরিণত হচ্ছে। যদিও পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের সদস্যদের অধিক্য দেখা গেছে। তবে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থাপনা করছেন। এর মধ্যে অনেক পোশাক কারখানা নতুন ভবনে গেছেন।
১২ শতাংশ কারখানা এখনো পুরাতন ভবনে অবস্থান করছেন এমন তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, রানা প্লাজা উত্তর পরিস্থিতে ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা পরিবর্তণ করলেও এখনো ১২ শতাংশের মতো কারখানা পুরাতন ভবনে রয়েছে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের মতো বিদেশী কর্মকর্তা এখাতে কাজ করছেন। তাদের আর্থিকমূল্যও গবেষণায় উঠে এসেছে।
দেবপ্রিয় বলেন, সামাজিক অগ্রায়নের ক্ষেত্রে যে তথ্য এসেছে এখনো শ্রমিকদের গড় বেতন ৭ হাজার দুইশ’র মতো। অর্থ্যাৎ ৮ হাজার টাকার নিচে। তবে নারী শ্রমিক ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যে গড় আয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য কমছে। নারীরা এগোচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় প্রতিষ্ঠান্ এগিয়ে এবং নারী শ্রমিকরা পিছিয়ে আছে। ট্রেড ইউনিয়েনের উপস্থিতি কম। কল্যাণ সংঘ তুলনামূলকভাবে ক্রমন্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। তবে ট্রেড ইউনিয়নের পরিস্থিতি দূর্বল।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়নে অসম পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সম্মানিত ওই ফেলো বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়নের হিসেবে অসম পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। অসম অগ্রায়নের প্রবণতা রয়েছে, অবস্থানগত অগ্রায়নের দেখা যাচ্ছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো তেমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে না্। সকল প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়নের ক্ষেত্রে টিকতে পারছে না। এক্ষেত্রে ছোটরা অন্য সেক্টরে চলে যেতে পারে।
লাস্টনিউজবিডি/মেহেদী
Comments are closed