দুই সন্তানের জননীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

সাইফুল্লাহ নাসির,লাস্টনিউজবিডি,২৮ ফেব্রয়ারী,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চরকান্দা গ্রামের মুছা আকন তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রিনা বেগমকে বেধরক মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত রিনাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত রিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে মারধর করে আসছে।স্বামী মুছার অমানুষিক নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছি না।বিয়ের ১৮ বছরে শতাধিক বার মারধর করেছে।শুধু দুইটি ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে নিরবে সহ্য করছি। এ বিষয়ে বহুবার সালিশ বৈঠক হয়েছে,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের দেলওয়ার হাওলাদারের মেয়ে রিনা আকতারকে ২০০০ সালে পার্শ্ববর্তী চরকান্দা গ্রামের লতিফ আকনের ছেলে মুছা আকনের সাথে বিয়ে হয়।ওই সময় জামাতা মুছাকে ব্যবসার জন্য যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা,স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন আসবাব পত্র দেয়।বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন অযুহাতে স্ত্রী রিনা আকতারকে মারধর শুরু করে।গত সোমবার রাতে রিনা বেগম এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যায়।এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বামী মুছা আকন।বাড়ীতে আসার সাথে সাথে তাকে (রিনা) বেধরক মারধর করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়।স্থানীয় লোকজন রিনার বাবার বাড়ীতে খবর দেয়।খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন,আহত রিনা বেগমের বাম চোখের নীচে,বাম হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে,আহত রিনা বেগম শরীরের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।তার বাম চোখের নিচে আঘাতের ফোলা কালো চিহৃ ও বাম হাতের উপরের অংশ ফোলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বামী মুছা আকন মুঠোফোনে বলেন,আমার অনুমতি ছাড়া এক আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছে,তাই মারধর করেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ সহিদ উল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত রিনা আকতারের খোঁজ খবর নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠিয়েছি।
লাস্টনিউজবিডি/মেহেদী
Comments are closed