মেয়ে পাগল স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করলেন স্ত্রী!

লাস্টনিউজবিডি, ১৮ ডিসেম্বর,নিউজ ডেস্ক: বিয়ে পাগল এক স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের ইস্পাহানী আবাসিক এলাকার জনৈক সামসুল হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে আশপাশের লোকজন এবং আবাসিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার বাহিনী স্বামী এনামুল মুন্সিকে (৩৫) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় স্ত্রী আশা বেগমকে আটক করে আজ রবিবার সকালে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
নাম না বলার শর্তে এনামুলের প্রতিবেশী জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় এনামুলের ফ্ল্যাটে চিৎকার চেচামেচি শুনে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে তাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাদের ডাক দিলে আশা ভাবি গেট খুলে দেয়। আমি তাদের ফ্ল্যাটে ঢোকার পর রক্তাক্ত অবস্থায় এনামুলকে খাটের উপর পরে থাকতে দেখি। বিষয়টি আমি সাথে সাথে আমাদের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার বাহিনী ও আশপাশের আরও লোকজনকে জানাই। এরপর আমরা এনামুলকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। আনসার বাহিনীর সদস্যরা এনামুলের স্ত্রীকে আটক করে সকালে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা আয়েশা বেগম বলেন, গত পাঁচ বছর আগে প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় এনামুল আমাকে সে অবিবাহিত বলেছে। বিয়ের প্রায় এক বছর পর আমাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান আসে। এরপর থেকে এনামুল বাড়িতে আসা যাওয়া কম করে এবং আমাদের ভরণ পোষণ ঠিক মত দিচ্ছে না। বাড়িতে আসলে এ বিষয়ে কথা বললে সে আমাকে প্রায় মারধর করত। তার এ আচরণ আমার সন্দেহ হলে আমি ভাল করে তার ব্যাপারে জানার চেষ্টা করি।
তিনি আরও বলেন, তার ব্যাপারে বিভিন্ন খোঁজ খবর নিতে জানতে পারি সে আমাকে বিয়ে করার আগে আরও দুটি এবং আমাকে বিয়ে করার পর গোপনে আরও তিনটি বিয়ে করে। মেয়েদের জীবন এভাবেই সে নষ্ট করে আসছিল। ঘটনার আগেও সে আমার সাথে ঝগড়া করে মারধর করে। পরে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে তার লিঙ্গ কর্তন করে দেই।
এনামুলের ভাই আবু বক্কর মুন্সি জানান, আমার ভাই একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। সে কালিগঞ্জ এলাকা থেকে শার্ট তৈরি করে বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। প্রেম করে প্রায় পাঁচ বছর আগে তারা বিয়ে করে। তারা আলাদা সংসার পাতে। তাদের সংসারে তারাই থাকে। আমরা কেউ সহজে যেতাম না। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হয়ে থাকতো। তবে একাধিক বিয়ের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। তাদের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার পালং থানার সদর এলাকায়। তার পিতার নাম সোবাহান মুন্সি।
তিনি আরও জানান, ভাবির দেশের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তার পিতার নাম আব্দুল আলিম। তাদের ঘরে আরিয়ান নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। আহত এনামুলের ভাই আবু বক্কর বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লাস্টনিউজবিডি/এমবি
Comments are closed