স্কুল শিক্ষিকার বসত বাড়ি ভাংচুর ও উচ্ছেদের অভিযোগ

উজ্জ্বল রায়,
লাস্টনিউজবিডি, ৩১ মে, নড়াইল : নড়াইলে এক স্কুল শিক্ষিকা তার বাবা ও দু’ ভায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, বাবা ও ছোট ভাই রাসেল তার ঘর দরজা, জানালা ও ইটের দেয়াল এবং টিন খুলে ফেলেছে। পরে মালামাল, অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে।
এখন তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নড়াইল নলদী বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও শহরের ভওয়াখালি এলাকার বাসিন্দা লাভলী ইয়াসমিন এ অভিযোগ করেন।
নড়াইল শহরের ভওয়াখালি এলাকার বাসিন্দা বাবা খায়ের মিয়া, ভাই জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও শাহারিয়ার পারভেজ রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে শিক্ষিকা লাভলী ইয়াসমীন বলেন, ভওয়াখালী এলাকায় ২০০৩ সালে বড় মামা মৃত আব্দুস সোবহান মোল্যার কাছ থেকে আমার ছোট বোন ফারহানা রহমান ও ভগ্নিপতি এস এম শরিফুর রহমান ৬৮নং ভওয়াখালি মৌজার সাবেক ১৩৮৯, বর্তমান হাল -৪১৫৪ দাগের ১০ শতক জায়গা ক্রয় করে।
তখন থেকে ওই জায়গায় একটি টিনের ঘরে আমি একমাত্র সন্তান কলেজ পড়ুয়া লিজানকে নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু গত কয়েক বছর পূর্ব থেকে আমার বাবা, দু’ভাই জুয়েল ও রাসেল অবৈধভাবে জায়গাটি দখল করার জন্য আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।
গত ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে আমার বাবা খায়ের মিয়া ছোট মেয়ে ফারহানা ও জামাই শরিফুরের বিরুদ্ধে এই জায়গা নিয়ে নড়াইল দেওয়ানি আদালতে মামলা করেছেন। সর্বশেষ গত ২৪ মে আমার কর্মস্থল স্কুলে থাকার সময় বেলা ১১টার দিকে আমার বাবা, মা ও ছোট ভাই রাসেল অপরিচিত কয়েক ব্যক্তিকে নিয়ে ঘরের দরজা, জানালা ও ইটের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং টিন খুলে ফেলে।
পরে আমার টেলিভিশন, আসবাবপত্র, অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়। আলমিরা, ফ্রিজ এখন রোদে পুড়ছে এবং বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। এখন দীর্ঘ ৭দিন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
বিষয়টি একাধিকবার নড়াইল পৌরসভায় এবং মৌখিকভাবে নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি এবং গত ২৪ মে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে গত ২৯মে (সোমবার) জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালত,নড়াইল সদর আদালতে মামলা করি।
তিনি এর সুষ্ঠ তদন্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে এর সুবিচার কামনা করেন। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে ভাংচুরের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
এ ব্যপারে লাভলী ইয়াসমিনের ভাই জাহিদুল ইসলাম জুয়েল (খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত) এ প্রতিনিধিকে জানান, বাড়িতে আমি দেড় বছরের বেশী যাই না। মাঝে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারব না। আমার বাবা ও ছোট ভাই বিষয়টি ভালো বলতে পারবে। তাদের সাথে কথা বলেন।
লাভলীর পিতা আবুল খায়ের বলেন, আমার মেয়ের অভিযোগ সত্য নহে।আমার ছোট মেয়ে ফারহানা রহমান ও জামাই এস এম শরিফুর রহমান একটি জাল দলিল তৈরি করে বাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারেআমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
লাস্টনিউজবিডি, এ এস
Comments are closed