সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব করেন আপনি?

লাস্টনিউজবিডি, ৩১ অক্টোবর, ডেস্ক: এসি চালু থাকলে ঠাণ্ডা অনুভব করা এক জিনিস, আর আপনার হাত ও পায়ের পাতা বরফের মত ঠাণ্ডা হয়ে থাকা এবং সব সময় শীতের কম্পন অনুভব করা আরেক জিনিস। যেখানে অন্য সবাই গরম অনুভব করছে কিন্তু আপনি ঠাণ্ডায় কাঁপছেন- এমন হলে আপনার চেকআপ করানো উচিৎ। সব সময় শরীর ঠাণ্ডা থাকার লক্ষণ আপনার অন্তর্নিহিত কোন স্বাস্থ্য সমস্যারই ইঙ্গিত প্রদান করে। সেই কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
১। আয়রনের ঘাটতি
সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব করা আয়রনের ঘাটতির জন্য হতে পারে। লাল রক্ত কণিকায় অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রধান ভূমিকা রাখে আয়রন। এছাড়াও প্রতিটা রক্ত কোষে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দিতেও সাহায্য করে আয়রন। পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন ছাড়া লাল রক্ত কণিকা তাদের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেনা এবং আয়রনের অভাব হলেই আপনি ঠাণ্ডা ও কম্পন অনুভব করেন।
২। শরীরের ওজন কম হলে
আপনার শরীরের ওজন কম হলেও আপনি সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব করতে পারেন। আপনার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রায় কার্পণ্য করলে আপনার বিপাক বাধাগ্রস্থ হয়। যার ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে। আমিষ, চর্বি ও শর্করাজাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এর মাধ্যমে শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়।
৩। ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি
অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করার আরেকটি কারণ হতে পারে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি। শরীরের প্রতিটা তন্ত্রে লাল রক্ত কণিকা পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন বি ১২। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ না গ্রহণ করলে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির ফলে আপনার সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব হতে পারে।
৪। নিষ্ক্রিয় থাইরয়েড
অকার্যকর থাইরয়েড সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব করার একটি সাধারণ কারণ এবং এর ফলে মধ্যবয়সী নারীদের বর্ণনাতীত অবসাদে ভুগতে দেখা যায়। ঔষধের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় থাইরয়েডের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। দেখবেন খুব দ্রুতই আপনি ঠাণ্ডা লাগার পরিবর্তে উষ্ণতা অনুভব করবেন।
৫। রক্ত সংবহন কম হলে
আপনার হাত-পা সবসময় ঠাণ্ডা হয়ে থাকার আরেকটি কারণ হতে পারে আপনার রক্ত সংবহনের সমস্যা। অত্যধিক ধূমপানের ফলে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায়, ফলে রক্ত সংবহন ও কমে যায়।
৬। প্রোটিনের ঘাটতি
যদি আপনি বেশিরভাগ সময় ফল ও সালাদ খেয়ে থাকেন এবং মাংস, দুধ ও বাদাম খেয়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন না গ্রহণ করেন তাহলে আপনি সব সময় ঠাণ্ডা ও ক্লান্ত অনুভব করবেন। আপনার এনার্জি লেভেলকে স্থির রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আমিষ গ্রহণ করুন।
৭। পর্যাপ্ত ব্যায়াম করছেন না
নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেক বৃদ্ধি পায়। সারাদেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন ঠিকভাবে প্রবাহিত হয়। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, যে সকল স্বাস্থ্যবান বয়স্ক মানুষ সপ্তাহে ৩ দিন ২০ মিনিট ব্যায়াম করেন তারা কম অবসাদগ্রস্থ হন এবং ৬ সপ্তাহ পরেই তাদেরকে অনেক বেশি এনার্জিসম্পন্ন হতে দেখা যায়।
লাস্টনিউজবিডি/এমবি