বাংলাদেশে বিদেশিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই :বাণিজ্যমন্ত্রী

লাস্টনিউজবিডি,৩১ জুলাই, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিদেশি ব্যবসায়ী ও কূটনীতিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। ধর্মের নামে যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দেশের আলেমসমাজ বিবৃতি দিয়েছে, মসজিদে মসজিদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বয়ান হচ্ছে। বাংলাদেশে বিদেশিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়ার মতো ঘটনা সরকার শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যরা।
রোববার সচিবালয়ে ইইউ’র বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ এ কথা বলেন।
বৈঠকে পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং আরও কয়েকটি দেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যেসব বিদেশী ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তাদের নিরাপত্তাকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে। তাদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনী দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে, ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা তার প্রশংসা করেছেন।
চলমান জঙ্গি হামলা বাণিজ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে তোফায়েল আহমদ বলেন, বাংলাদেশে যেসব জঙ্গি মারা গেছে, তাদের মা-বাবারা লাশ পর্যন্ত নেননি। এটাই হচ্ছে আসল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এ ধরনের ঘটনায় হার মানার দেশ নয়। ভবিষ্যতেও মানবে না।
এ সময় মন্ত্রী রানা প্লাজার উদাহরণ তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর আড়াই বছর চলে গেছে। এরপর ওই রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ঘটনার পর ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জঙ্গি হামলাও দ্রুত কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে গেলে প্রয়োজনে তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হবে।
বৈঠক শেষে বের হয়ে জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘দলের সঙ্গে দলের কোনো জাতীয় ঐক্য হয় না। জাতীয় ঐক্য হয় জনগণের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ঐক্য হয়ে গেছে। গুলশানের জঙ্গি হামলার ঘটনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিদের পক্ষে সাফাই গাওয়া বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না।’
ইইউ’র রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু বলেন, শুধু গুলশান ও বারিধারায় নিরাপত্তা জোরদার করলে হবে না, সারা দেশে ১৬ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দরকার। তারা নিরাপদ বোধ করলে এ দেশে বসবাসকারী বিদেশিরাও নিরাপদ বোধ করবেন।
তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার মতো ঘটনাগুলো বিদেশীদের উদ্বিগ্ন করেছে। এসব ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে বাংলাদেশকে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বিদেশীদের আস্থা ফিরে আসে।
এ সময় বেসরকারি খাতসহ সব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান পিয়েরে মায়াদু।
লাস্টনিউজবিডি/এম.এইচ.এইচ.বি