জ্বলন্ত চিতা থেকে চিৎকার করে উঠল ‘মৃতদেহ’, অত:পর

লাস্টনিউজবিডি, ৩০ জুলাই, ডেস্ক : সাপের কামড়ে যেহেতু মরেছে সুতরাং চিকিৎসকের কাছে নিয়ে লাভ নেই! তাই সোজা শ্মশানেই নিয়ে যাওয়া হল সন্দীপের মৃতদেহ।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ। চিতায় আগুন দেয়া হল। লাশও পুড়তে শুরু করল। আর এমন সময়ই চিৎকার করে উঠে বসল ‘মৃত’ সন্দীপ।
তবে তাতে আর কোনো কাজ হল না। এবারও নেয়া হল না চিকিৎসকের কাছে। সন্দীপকে হিন্দু ধর্মের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার।
ততক্ষণে প্রাণ বায়ুটা যে আর দেহে অবশিষ্ট নেই। শ্মশানে যাওয়ার চূড়ান্ত ফয়সালাটাই হয়ে গেছে।
আশ্চর্য মনে হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাইসেন জেলায়।
বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির যুগেও কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের বলি হতে হল এক যুবককে।
সাপের কামড়ে মৃত বলেই ধরে নেয়া হয়েছিল সন্দীপকে। সঠিক সময় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে তাকে হয়তো বাঁচানোও যেত।
কিন্তু তার গ্রামবাসীরা আজও বিজ্ঞানের থেকে কুসংস্কারেই বিশ্বাস করে বেশি। তাই একবার নয়, সন্দীপকে বাঁচানোর দুবার সুযোগ পেয়েও তাকে বাঁচাতে পারল না পরিবার। কুসংস্কারের বলি হয়েই মাত্র ২৩ বছরেই ইহলোক ছাড়তে হল তাকে।
স্থানীয়রা যায়, আর পাঁচটা দিনের মতো সেদিনও জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহে গিয়েছিল সন্দীপ। সেখানেই এক বিষাক্ত সাপ ছোবল দেয় তাকে। জঙ্গল থেকে ফিরলে তাকে স্থানীয় নামকরা এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায় পরিবার।
ঝাড়ফুঁক করার পর তান্ত্রিক জানিয়ে দেন, সন্দীপকে বাঁচানো সম্ভব হল না।
সন্দীপের মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘটে আরেক ঘটনা, যা দেখে গ্রামবাসীদের চক্ষু চড়কগাছ!
চিতায় শোয়ানো রয়েছে সন্দীপের মৃতদেহ। তাতে আগুন দিতেই চিৎকার করে উঠে বসলেন ‘মৃত’ সন্দীপ।
কেউ ভয়ে শিউরে উঠলেন। তো কেউ আবার শ্মশান ছেড়ে দৌড়ে পালালেন। তবে সন্দীপের পরিবার বুঝতে পারে তার মধ্যে এখনও প্রাণ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চিতা থেকে নামিয়ে সন্দীপকে ফের সেই তান্ত্রিকের কাছেই নিয়ে যাওয়া হল।
ফলে তাকে বাঁচানোর দ্বিতীয় সুযোগও নষ্ট করল পরিবার। অবশেষে পুলিশ এসে সন্দীপের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
লাস্টনিউজবিডি, এ এস