বিদ্যুৎ না থাকলেও বিল একই: জনজীবন ওষ্ঠাগত

রহিম রেজা,
লাস্টনিউজবিডি, ৩০ এপ্রিল, রাজাপুর (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুরে গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত তাপদাহের মধ্যে গ্রামাঞ্চল এলাকায় দিনে-রাতে প্রায় ১৪ ঘন্টা এবং উপজেলা সদরে প্রায় ১২ ঘন্টা লোড শেডিং দেয়া হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ।
তাপদাহের ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জীবন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, বার বার বিদ্যুত আসা যাওয়ার কারনে তাদের মুল্যবান কম্পিউটার, বিদ্যুত চালিত যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুতের কারনে শতাধিক স্ব’মিলে কয়েক শ’ শ্রমিরেকর কাজ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই শ্রমিক, মালিকরা ও শ্রমিক পরিবারসহ সংশ্লিষ্টরা।
চলমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, রাজাপুরে প্রায় বিশ সহ্রাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নিয়মিত বিদ্যুত পেলেও মাসে মিনিমাম চার্জের বেশী বিল হয়না।
কিন্তু পল্লী বিদ্যুত সমিতির লোকজন উৎপাদন কম,লাইনে ত্রুটি, লাইনের পাশের গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অযুহাতে লোড শেডিং এর মাত্রা বাড়িয়ে গ্রাহকদের কষ্ট দিয়ে প্রতি মাসে মিনিমাম বিলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের এই ভেলকি বাজির হাত থেকে রক্ষা পেতে উপরোল্লেখিত বিষয় গুলো খতিয়ে দেখার জন্য এলাকার রাজনিতী বিদদেরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে রাজাপুর উপজেলার পার্শবর্তী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়।
সেখানে একই স্থানে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুত অফিস উভয়ই রয়েছে। নিয়মানুযায়ী পল্লী বিদ্যুত সমিতি পিডিবি’র কাছ থেকে বিদ্যুত ক্রয় করে সরবরাহ করে থাকেন।
রাজাপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ের এজিএম মোঃ আনসার উদ্দিন ভান্ডারিয়া পিডিবি’র অফিস থেকে বিদ্যুত সম্পর্কে জানতে নিষেধ করে বলেন, ভান্ডারিয়া পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুম থেকে লোডশেডিং সম্পর্কে খোজ নিলে আসল তথ্য জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, রাজাপুরে দুটি ফিডারে ৩ মেগাওয়াট করে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন। বিদ্যুত উৎপাদন কম থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ১ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে বললে, ১ মেগাওয়াট বিদ্যুত কমানোর সিষ্টেম না থাকায় তিন মেগাওয়াটের একটি ফিডার বন্ধ রাখা হয়।
উৎপাদন স্বাভাবিক হলে এ সমস্যা থাকবেনা বলে তিনি আরো জানান। তীব্র লোড শেডিং সম্পর্কে পিডিবি বিদ্যুতের আঞ্চলিক প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া ৩৩ হাজার ভোল্টেজের লাইনে কোন বিদ্যুত ঘাটতি থাকে না।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন আমার ওপর দোষ চাপানোর ফলে পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকরা ফোনে আমাকে মিথ্যা দায়ী করছেন।
একই স্থানের পল্লী বিদ্যুত কন্ট্রোল রুমের দায়ীত্বে থাকা উপ সহকারি প্রকৌশলী নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, দুটি বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়েছে।
লাস্টনিউজবিডি, এ এস